শ্রাবণের বৃষ্টিতে ভিজে যায় স্নিগ্ধ বিকেল,
ভিজে যায় বৃক্ষ বন, দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ,
ভিজে সবুজ ঘাস আর বনফুল,
ভিজে সোনালি আউশ ধান, কাঁঠালের বন।
ভিজে নীরবে দাঁড়িয়ে উঁচু পাহাড়,
স্রোত পায় রূপালী ঝর্ণা।
হাওরে জমে ঝিকঝিকে সাদা পানি।
বুনোহাঁস ভিজে সোহাগে জড়াতে বুনোহংসিকে;
শ্রাবণ যে ভিজে থাকে  ভালোবাসার আভাতে।
ভেজো তুমি পল্লীবধু বেশে উঠোনে,
পায়ে আলতার দাগ নুপুর বেয়ে মিশে শ্রাবণের জলে।
লাল শাড়ি তে তুমি যেন ফুটন্ত গোলাপ-
পাপড়ি মেলে স্বাগত জানালে শ্রাবণে।
তোমার ভেজা কেশের স্নিগ্ধ আভা সুরোভিত করে শ্রাবণে।
মায়াবী কাজল চোখে নেচে যায় শ্রাবণে,
কাঁচা বকুল মালায় ভেজা শাড়ি তে,
যেন পূর্ণিমার চাঁদ নতুন জলে ধুয়ে ঝলমল করছে।
শ্রাবণে তুমি যেন পেখম মেলেছো,
কুমারী ময়ূরী বেশে।
ঠাঁই হীন এক প্রেমিক আমি,
জলে ঠাঁই পেলে জীবন পায় যেমন শেওলা শামুক,
আমি ও একটু ঠাঁই চাই তোমার শ্রাবণের জলে।


শ্রাবণ শেষ হয়,শেষ হয় বৃষ্টির জল,
শেষ না হয় যেন এই শ্রাবণের গান।