কালো বলে ছুড়ে ফেল কেন আমায়?
দূরে, বৈষম্য আনো ঘৃণা ভরে।
ব্যথিত হয় হৃদয় ছেড়ে যাও,
কালো বলে চোখ ভরে ঘৃণায়!
ঘৃণিত হতোনা থাকলে ফুল কাননে,
বসুধার তৃণ রাজির শীয় মস্তকে,
সযতনে থাকতাম বসুধার শোভাবর্ধনে।
এতোটাই কি বেমানান আমি?
এ বসুন্ধরার সজ্জিত শোভা মঞ্চে;


ঘৃণায় অনিহায় ছেড়েছে কতো জন মোরে,
হৃদয় বন্ধনে কষ্ট নিয়ে জেগে রই পিঞ্জরে।
পিঞ্জরে কেবলই কালির প্রলেপ,
প্রলেপ সারা অঙ্গ প্রাণে।
কালো বলে ভাষাও আমায়,
রাঙা দিঘির জলে;
জলে ছিল না খার না ছিল সুবাস,
না হইলো আমার রুপের পরিবর্তন।


হতে পারতাম যদি পাহাড়ি ঝর্ণা,
বয়ে যেতাম সবুজের বুক চিরে,
শত নদী উপেক্ষা করে মিলতাম সাগরে।
না থাকি প্রকৃতির প্রেম বন্ধনে!
থেকে মানব সায়রে পরে রই অনাদরে,
অবজ্ঞা অবহেলায় অক্ষি অগোচরে ;
চোখ মেলেনা কেউ বৈষম্য নিয়ে দেখে,
বলে আমায় কালো!


কালো, রাতের শোভা সে-ও তো কালো,
ভোরের পাখি সে-ও তো কালো,
প্রেমের প্রকৃতি কৃষ্ণ সে-ও তো কালো,
তবে আমায় নিয়ে কেন এতো দ্বিধা ।
সৃষ্টির শীয় কানন করেছে বিধি-
না বলো আমায় কালো ;
সব ভুলে মানুষ বলে ভালোবাসো।