যদি হতাম একলা একটা পাতা,
আতা কিংবা কলার শির্ষে,
দুই দিকে দুই চাল বিছাইতাম,
শাখে শাখে আনিতাম রঙিন মাতোয়ারা।
সবুজে সবুজে জুড়াইতাম পৃথিবী,
সবুজে হলুদে লালে লালে,
শাখে শাখে আনিতাম বসন্ত মেলা,
নতুনে নতুনে সাজাইতাম এ ধরা।
বৃক্ষ শাখে জন্ম নিতাম নিয়ে কচি ডানা,
গীষ্মের আলোতে হেসে খেলে,
উপহার দিতাম ফল ফুল সুরা,
করিতাম অপেক্ষা আষাঢ় আগমনের।
আষাঢ়ের আগমনে মেলে থাকতাম পাখনা,
মেঘেদের ডেকে বর্ষারবৃষ্টিতে ভিজে ভিজে,
দিতাম শ্যামল শীতল মায়াবী ধরা,
দিতাম নিভৃত ঘুম জেগে ওঠে কদমের হাসি।
হতাম যদি এক রাজি পাতা,
পারি দিতাম শরৎ হেমন্ত থেমে থেমে,
পারি দিতাম শীতের রুক্ষ দিন গুলো,
করিতাম না ভয় একটু খানি।
বৃক্ষ শাখে করুন কান্নায় কান্নায়,
ঝাপটা হাওয়ার দাপটা ঝরের বেদনায়,
অভিমান করিতাম পৃথিবীর সায়রে,
মৃত্যুতে হইতাম শেষ ;
ছড়িয়া বৃক্ষ শাখা পড়িয়া ভূমিতে,
বিলিন করিতাম আমায়,
অতিথির মতো আবার আসি যদি ধরাতে,
আশা রাখি পাতাতে,
জন্মি যেন এ ধরার বৃক্ষ শাখাতে।