সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি,
মুজিব
তুমি মিশে আছো লক্ষ প্রাণে,
হে মহানায়ক জন্মেছো এ দেশে,
তোমার গৌরবে -
বাংলা মায়ের কোল হাসে।
তুমি লক্ষ প্রাণের আশা ছিলে,
এ ভূমির বুকে;
তুমি ছিলে মুক্তির দূত,
কোটি বাঙালির তরে।
মুজিব
তুমি ছিলে শান্তির বার্তা বাঙালির দুর্দিনে,
সাহসী বীর দেখিনি তোমার সম,
৫২,৬২,৬৬,৬৯,৭০এর জয়ে-
তুমি উদ্দাম হয়ে হেসে ছিলে!
অশ্রুর দেশে হাসি এসে ছিল ভুলে,
সে হাসিও ৭১ গেল রক্ত বন্যায় ভেসে।
অসহায় জাতি মোর মরণে পরিল ঢুলে,
রক্তাক্ত এক অশ্রু সাগর জলে!
মুজিব
তবুও তুমি ছাড়লে না বীর বাঙালির বল,
শাসনে শোষনে নিপিড়ীত যখন তোমার জাতি,
তাতেও হলো না শান্ত হানাদার সেনার দল,
তুমি থাকতে পারোনি চুপটি করে,
ডাকলে তুমি মুক্তির সম্মেলন,
সেথায় ঘোষিলে স্বাধীনতার মর্ম বাণী!
ব্যথার্থ চিত্তে দরাজ কন্ঠে উদ্ভাসিত হল -
"এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, "
সংগ্রামে তব ডাকে উচ্চসিত বাঙালির প্রাণ,
বাঙালির হৃদয় বন্ধনে সংগ্রামের স্নিগ্ধ ঘার্ণ।
মুজিব
দুর্দিনের সহায় তুমি ছিলে বাঙালির প্রাণ,
চারিদিকে যখন শত্রুর ঘনঘটা,
থাকলে তুমি হাজত বাসে গিয়ে অন্য দেশে,
সেথায় হতে ঘোষিলে স্বাধীনতার মুক্তি বার্তা।
তোমার প্রেরণায় তোমার চেতনায় বাঙালি,
উদ্যত হলো যুদ্ধ ময়দানে।
রঞ্জিত হলো বঞ্চিত মানুষের রক্তে রাজপথ,
ধুলা লুটিয়ে কেঁদে ছিলে তুমি,
দেখে সর্বহারা বাঙালির আর্তনাত!
যুদ্ধ ময়দানে রক্ত স্রোতে ধুয়ে মুছে,
বাঙালির নতুন জন্ম তব তোমার অবদানে।
বাংলার আকাশে বাতাসে মিশে আছো তুমি,
কোটি বাঙলির সমাবেশে ;
তাইতো তুমি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলার ইতিহাসে।