তুমি আবার আসলে ফিরে এই পূর্ণিমায়,
তুমি এসে ছিলে,
তুমি এসে ছিলে কোন এক পূর্ণিমায়।
গোধূলির সেই শুরু থেকে, সেই তুমি
আর আমার চার দেওয়ালের ঘর,
অন্ধকার আলো এক স্তবদ্ধ নির্বতা,
জানালার পাশে একগুচ্ছ হাসনাহেনা ;
সুভাসে মাতোয়ারা এ প্রকৃতি।
অন্ধকার খনিকে দূরীভূত হলো,
আকাশে উদিত চাঁদ অস্তমিত সূর্যের মতো,
বিশাল রক্তিম বর্ণে উজ্জ্বল ;
বুঝলাম খনিক দেরিতে হলেও আজ পূর্ণিমা।
পূর্ণ চাঁদের জোছনা সুনসান নীরবতার বুকে,
আলো ঢেলে স্বাগত জানালো।
চারিদিকে নীরবে দাড়িয়ে থাকা প্রকৃতি,
যেন এপাশ ওপাশ করে নিলো।
তুমি বললে, চলো না ঘুরে আসি,
ঘর থেকে খোলা উঠান,
দক্ষিনে বাগান, ছোট্ট একটা পুকুর।
উত্তরে দৃষ্টি জোড়া মাঠ,
মাঠের বুক চিরে সেই দিঘল মেঠোপথ।
একপাশে নদী একপাশে ফসলের ছবি,
এহেন গীষ্ম কাল;
নদীর বুকে তৃষ্ণণার ছল।
চাষে চোরিত মাঠ হাসছে খিলখিল করে,
আজ এ পথের ধূলিকণা হয়েছে সোনা,
মনকে নাড়ায় মনে করায় স্মৃতি মেলা,
তুমি পাশে আছো,তুমিই তো চুপ!
বলনা সে দিনের কিছু কথা শুনি,
এমন উজ্জ্বল চাঁদের জোছনায় শ্রান করেছিলে তুমি,
কোন চাঁদ, ভুলেছো এটাই তো পুরুষ!
হুম...নিজেরে চাঁদ ভাবো,মন্দ না;
তুমি চাঁদের চেয়েও উজ্জ্বল,
উজ্জ্বল তোমার কারুশৈল্পীক অঙ্গ,
সেই রাত,সে রাত কখনো ভুলবো না আমি।
ভুলবো না তোমার সে উৎকন্ঠিত হৃদস্পন্দন,
তোমার চুলের গন্ধ,
স্রোত পাওয়া তোমার সর্ব অঙ্গের জোয়ার।
সেই মিলনের তিথি,
সেই জোছনা শ্রান।
আজ রাত কি নৈশ্য নিদহীন,
আজ কি চাঁদ জোছনা ঢালিতে কৃপণা,
আজ এ প্রকৃতির স্তবদ্ধতা কি নীরবে নিঃশেষ হবে?
না; নিঃশেষ হবে মোর প্রাণ।
তুমি হবে আদি মানবী আমার প্রেম আবেশে,
বেআব্রু তোমার সমস্ত অঙ্গ,
তুমি ফুটন্ত গোলাপ প্রকৃতির বাগানে,
শোনাবো মধু গুঞ্জন তোমার পাপড়িতে পাপড়িতে।
আজ পূর্ণিমায়,
তোমার নগ্ন তনুর উগ্র স্তনের শির্ষে,
এক বিন্দু ভালোবাসার অমরিত ঢেলে,
পান করি বসন্ত প্রজাপতিহয়ে।
তোমার যৌবনের উত্তাল স্রোত,
উপচচ্ছে পরবে ঘাসের শিশিরে।
শান্ত প্রকৃতির স্তবদ্ধতায় নিঃশেষিত প্রাণে,
তোমার বুকে আমার মাথা,
অবুঝ বালকের মতো দু'হাতে জাপটে রেখেছো আমায়।
আবার ফিরে এসো কোন এক মধু পূর্ণিমায়।