আজকাল আর কবিতা লেখা হয় না ।
প্রেমের কবিতা লিখতে গেলেই
নির্ভয়া ,দামিনিদের ক্ষতবিক্ষত শরীরটা
চোখের সামনে আর্তনাদ করে ওঠে ।
ভালবাসার গান গাইতে গেলে ,
কানে ভেসে আসে পিশাচগুলোর অট্টহাসি ;
গানের সুর কেটে যায় ।
বিদ্রোহের কথা বলতে গেলেই
শাসকের শ্যেনদৃষ্টি ,তাড়িয়ে বেড়ায় ।
আজকাল রাতে ঘুম আসে না ।
ওরা বলে “ বয়ষ হলে নাকি এমনটি হয় “।
আমার মনে হয়, সেটা সত্যি নয় ।
মানুষ মানুষের মাঝে হানাহানি ,
জাতিভেদ,ধর্মভেদ ,
একে অন্যের প্রতি বিদ্রুপবানি ,
স্বার্থময় জীবনের স্রোতে - ,
মানবিকতার ক্রমাগত দ্রুত অবক্ষয় ;
ক্ষমতার দাম্ভিকতায় -
বিজ্ঞিনের নবস্রিষ্টির শুধু অপচয় ;
আমার চোখের ঘুম কেড়ে নেয় ।
বেঁচে থাকার ইচ্ছেগুলো ,পালিয়ে যেতে চায় ।
গতকাল গভীর রাতে স্বপ্ন আসে চোখে ,
জীবনের পাশাখেলায় ,মানবিকতা জিতে গেছে ।
দুই বাংলার সীমারেখা ,কোথায় মিলিয়ে যায় ,
কেদার ভাই আর ভটচার্যদাদা
এক থালায় ভাত খায় ।
ভেদাভেদ ভুলে সব পথে নেমে পড়ে ,
পিশাচ আর শাসকদলের ,ঘুম নেয় কেড়ে ।
নির্ভয়া আর দামিনিরা ঘরে ফিরে আসে ,
ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে
আবার মানুষ মানুষকে ভালবাসে ।
ঘুম ভেঙে গেল বুঝি প্রভাত –আলোতে ,
খুঁজি কোথায় আমি ,বাস্তবে না স্বপ্নেতে ।