কতদিন কতযুগ ধরে ,
বাংলা মায়ের ঘরে ঘরে
                ওদের দেখেছি।
অত্যাচার আর ভ্রাস্টাচার,
সমূলে বিনষ্ট করবার ,
               আওয়াজ শুনেছি ।

স্বাধীনতার যুদ্ধেও ওদের পেয়েছি ।
অহিংসাকে সাথি করে ,
কিম্বা বিপ্লবীর বেশ ধরে
ব্রিটিশ রাজার ওপর হেনেছিল আঘাত ;
স্বপ্ন দেখিয়েছিল স্বাধীনতার প্রভাত ।  

বন্যা কিম্বা মনন্তরে ,
পৌঁছেছিল ওরা ,অভাগার ঘরে,
সাথে নিয়ে ত্রান ।
তুচ্ছ করে আপনার প্রাণ ।

জমিদারি প্রথার উচ্ছেদে ,
ফসলে কৃষকের ন্যায্য ভাগ পেতে
           ওরা হয়েছিল সোচ্চার ।
কৃষকের সাথে গড়েছিল  
          আন্দোলন তেভাগার  ।
ওদের মতে
মানুষ আর মানুষের মধ্যে  বিভেদ ,
শুধু অত্যাচারী আর অত্যাচারিতের ।
বাকি সব ;  জাতিভেদ ,বর্ণভেদ  -  
অত্যাচারীর হাতিয়ার ; অত্যাচার বজায় রাখবার  ।

তাই  বারংবার ;ওদের গর্জন শনা যেত ।
সেই  দৃপ্ত  আওয়াজে -
আত্যাচারী , ভ্রষ্টাচারীদের  হাত  যেত  কেঁপে ,
মার খাওয়া মানুষের মধ্যে জাগাত বাঁচার আশা ।

তারপর ধীরে ধীরে ,
জীবন যুদ্ধের ক্লান্তির ভারে ,
ওদের রক্তে বহে গেল শীতল হাওয়া ,
ঘুমিয়ে পড়ল ওদের চেতনা ,
জন্ম নিল আজকের নতুন হিমাংশুরা ।

অত্যাচার আর ভ্রষ্টাচার আর ওদের নাড়া দেয় না ।
ওরা ভুলে যায় ওদের অতীত ,
ভবিষ্যতের কল্পনায়
ওরা হারিয়ে ফেলে  র্বতমানকে ।

এখনকার হিমাংশুরা ,
রোজ সকালবেলায়  
থলি হাতে  বাজারে ছোটে ।
অফিসে গিয়ে করে আসে দৈনন্দিন পাপক্ষয় ।
প্রতি সন্ধ্যায় ছেলের বই নিয়ে বসে যায় ,
তৈরি করে নতুন হিমাংশুকে ।

এমনি করেই কেটে যায় ওদের যৌবন ।
আর তারপর
স্মৃতি- রোমন্থন  কিম্বা বৃদ্ধাশ্রম  ।