সেই ছেলেবেলা থেকে গিয়েছি মসজিতে ,মন্দিরে ,
কখনও বা ঠাম্মার সাথে, কিম্বা মায়ের হাত ধরে ;
পাথরের মূর্তির মাঝে খূঁজেছি তোমায় ;
যদি দেখা হয় -
পুরোহিতের বেদমন্ত্রে ,যজ্ঞের ধোঁয়ায় ।
পূজা আর ভক্তিরসে কেটেছে সময় ,
পেয়েছি মনের শান্তি ,পাইনি তোমায় ।
তীর্থ থেকে তীর্থান্তরে ঘুরেছি অনেক ;
দূর্গম পাহাড় পথে , শুষ্ক মরূতে ।
প্রকৃতির অনন্তারূপে মুগ্ধ হয়েছি,
চোখ মেলে তার পানে চেয়ে থেকেছি ।
আনন্দের ফাল্গুধারায় ভরেছে হৃদয় ,
পেয়েছি অনেক কিছু ,পাইনি তোমায় ।
বনের পাখির ডাকে ,সবুজ গাছের ফাঁকে -
সামুদ্র-বারির আস্ফালনে ,পাহাড়ের নির্জনে
আকাশজুড়ে মেঘের বিচিত্র খেলায় ,
প্রভাত ও সন্ধ্যায় – রক্ত-রাঙা রবির শোভায় ।
তোমার সৃষ্টির মাঝে , নিজেকে খূঁজে পেয়েছি ।
তবু এক অব্যক্ত বেদানায় -
আমার চিত্ত শুধু খোঁজে যে তোমায় ।
তোমাকে পাওয়ার খোঁজে ,গিয়েছি গুরুর কাছে ।
ওঙ্কার মন্ত্র জপে হয়েছি নির্বিকার ।
নিজের নিঃশ্বাস ধারায় –খুঁজেছি তোমায়
গুরুমন্ত্র নিয়ে প্রাণে ,সাত চক্রের আর্বতনে ,
তোমার পথ চেয়ে থেকেছি , তোমাকেই খুঁজেছি ;
পেয়েছি শান্তির মার্গ , তবু পাইনি তোমায় ।
সেদিন বিকেলবেলায় -
আপনমনে বসেছিলাম ,মাঠের এক র্নিজন কোনায় ।
শিশুদের খেলাধূলার আনন্দময় চিৎকার ,
নির্মল হাসির ধারা -যেন বারবার
জয়ধ্বনি করছিল –নিঃস্বার্থ ভালবাসার ।
হঠাৎ সেই আনন্দক্ষনে ,মনে হল ,
এতদিনে পেয়েছি তোমায় ;
তুমি যে নিত্য ছিলে , আমার চেতনায় ।
মানস কুমার ঘোষ