আজ কবিতা ঘর স্তব্দ।
বদ্ধ জানালার সিক ধরে দাঁড়িযে কবি মুকাচৌংরা,
আত্মদহনে জ্বলে বাতাসহীন আলো আঁধারে দহন কক্ষে,
দগ্ধ হয়ে যেন ঠাঁই দাড়িয়ে আছে।মনে হচ্ছে অজাত বিরহে,
ভালবাসার নষ্ট ইতিহাস নিয়ে ভাবনায় আছে কবি।
কবি-- এ-ই কবি,  আমাকে শুনতে পাচ্ছো ?
কোন সাড়া নেই,বুঝিনা নিশুতি প্রহরে অতন্দ্র বলয়ে কার জন্য
এত অর্ঘ্য নিবেদন?

হঠাৎ দীর্ঘশ্বাস,পেছন ফিরে তাকালো কবি,আলো আঁধারীতে
উজ্জল অবয়বের রশ্মিতে আলোর ছড়াছড়ি।যেন কেরেলার
নায়কের অভিনয়ের পোজ।তারপর কবি আমায় বলল--
সময় সন্ধির অতলান্ত আঁধারে আমি বাংলা শব্দ খুঁজছিলাম,
তুমি সুধায়ে সন্ধিৎ ফিরে এলো।
কেন কবি,অভিধানে কি শব্দের আকাল পড়েছে ?
কবি -কিসের অভিধান?

৫২ এর ভাষা আন্দোলনে যারা মারা গেছেন,তাদের স্মৃতিতে
শহীদ মিনারে তোমরা পুস্পার্ঘ্য অর্পন করো,অথচ সেই শহীদ
আরবী শব্দ,মিনার ফার্সী শব্দ,পুষ্প সংস্কৃতি শব্দ,আর এ শব্দগুলো
লীপিবদ্ধ করেছে বাংলা একাডেমী,একাডেমী ইংলিশ শব্দ।
বাংলা ভেবে ভাব প্রকাশ করে আরাম বোধ করতাম,
আর সেই আরাম হলো ফার্সী শব্দ।ভাব প্রকাশে কি মুছিবতে আছি,ধুর ছাই--
মুছিবত আরবী শব্দ।যুগে যুগে বিভিন্ন ভাষার সংশ্রিনে ভাষা দিবস পালন করি।
লিখিবোনা আর কবিতা,বলে দাও সবায়কে,
মুকাচৌংরা শব্দ রোগে ভুগছে।