চিৎকার করে কান্না আসে,সেই সভ্যতার লাগি
ভাল নয়রে এ সভ্যতা, সেই সভ্যতা মাগি ।
ফিরিয়ে দেরে আধুনিক মোড়ল, সোনালী সবুজ গাঁও
মেঠো পথে বাঁশির সুরে, আমার সুখের নাও।
গামছা মাথায় গরু পালের সেই রাখালটা কই
কৃষক কাঁধে লাঙ্গল জোয়াল দেখিনা এখন মই।
ফিরিয়ে দেরে মাটির কুপের, শীতল মিঠা জল
দেখিনা এখন ডাল মারানোর শিলার যাঁতাকল ।
ভাটিয়ারী গান আর নাই,রঙ্গিন নায়ের পাল
হেরা হেরা থি থি, কোথাই গরুর হাল ।
গাঁ গেরামের পুতির আসর, রূপবান নাটক নাই
কলা পাতায় মেজবানীর স্বাদ, এখন কোথাই পাই।
এ সভ্যতা কেড়ে নিল, রেশমী ফিতার সাজ
হারিয়ে গেল হাত রুমালের, সুঁতার কাঁরুকাজ।
কুপি বাতির আলোয় ছিল, চিটি লিখার দিন
বিজলী বাতি হারিয়ে দিল, কুপির কেরোসিন ।
শীল পাটায় মরিচ বাটার. পাইনা সেই ঝাল
কাঠের ঢেঁকির ছাটাই হতো পিঠা বানানোর চাল।
সন্ধ্যা হলে ভেসে আসতো, শিয়াল মামার ডাক
শকুনেরা সব বিলুপ্তি আজ, হারিয়ে গেল কাক।
ফড়ৎ ফড়ৎ হুক্কা টানার, দাদা আজ আর নাই
কলির যুগে এসব ভাবতে, বড়ই কষ্ট পাই ।
সেই সভ্যতা মুছে গিয়ে, কি সভ্যতা দিলে ,
সংস্কুতি সম্মান আর, মায়া নাই কারো দীলে ।
বিঃদ্রঃ-একটা সংগৃহিত লিখা থেকে,আমার মত করে
সাজিয়েছি ।