আজ ধরণীর বুকে শুধু
স্বজন হারানোর নীরব যন্ত্রণা ।
চারিদিকে শুধু মৃত্যুর মিছিল
আর হৃদয় ভাঙা বেদনা ।।
অশ্রুজলের শুদ্ধিকরণ হচ্ছে
প্রতিটা সেবালয় ।
মনে হয় আর কত স্বজনের
তাজা প্রাণ হারানোর ভয় ।।
এতকিছুর পরও কিছু মানুষ
চায়না মানতে, পায় না ভয় ।
কোন কিছুই পারবে না তাদের ছুতে
কারণ তারা নিজেকে ভাবে মৃত্যুঞ্জয় ।।
হে মৃত্যুঞ্জয়, ঝড় আসার পূর্বে
মজবুত করো নিজের ঘর ।
তা না হলে হয়তো
আপন মানুষ হয়ে যাবে পর ।।
সন্তান হারাবে পিতা মাতা
পিতা-মাতা হারাবে সন্তান ।
স্বামী স্ত্রীর মাঝে যেন
না তৈরি হয় দূরত্বের ব্যবধান ।।
তাই হে মহামানব তোমাদের
অবচেতনার বসে ।
সজনের অশ্রু ঝরে না
যেন অবশেষে ।।
আজ যারা নিজের জীবন বিপন্ন করে
অন্যের জীবন দিতে বদ্ধপরিকর ।
তাদেরও আছে পরিবার আত্মীয়-স্বজন
দিতে পারেনা সময় নিজেও ঘর ।।
হে মহামানব তোমাদের
পদতল মস্তকে করি ধারণ ।
তোমাদের অবচেতনায় যেন
আর কারো মৃত্যুকে করিতে না হয় বরণ ।।
আমরা সবাই এক হয়ে
করব মহাযুদ্ধের জয় ।
মোদের কাছে আছে সেই অস্ত্র
যা থাকবেনা স্বজন হারানোর ভয় ।।
আমরা সবাই এক হয়ে
সব বিধি চলবো মেনে ।
অশ্রুর বন্যা যাবে সরে
শেষ হবে নীরব আর্তনাদ প্রিয় আপন জনের ।।
যতই হোক না রাত্রি ঘন
ততই কাছে রবি ।
করব মোরা যুদ্ধ জয়
নিয়ম মেনে সবি ।।
এই মহাযুদ্ধের সকল যদ্ধা দের
করি সম্মান ।
তাদের বিধি মাথায় রেখে
মহামারী কে শেষ করে, ফিরিয়ে দেবো তাজা প্রাণ ।।।