কে জানতো সহসাই ভেসে যাবে এ চর
খড়কুটায় তবে কি আর মায়া সাজাতাম!
কত ক্ষুদ্র মিহি পলি গড়েছে এই বসতি;
সে জানেনা নদী কিংবা জলধির স্রোত
কতটা তপস্যায় খড়কুটোর চালা নন্দন
আর তাতেই হলো স্বপ্নবুনন পরিপাটি।
প্রবল স্রোতের কি অকৃত্তিম টান মরণঘাতি
ভাসে উঠান বৈঠকখানা চারপাশের মাটি
অপেক্ষায় রইলাম শক্ত বাঁধন বিশ্বাসে
ক্ষণিক বাদেই দেখি স্বার্থের চির বৃষ্টির
চৌদিকে পরানের দেউড়িতে ঢেউ অস্থির
নদীগর্ভে বিলীন হলো ছিন্ন ছায়া নীড়।
ভাসছি স্রোতের বিপরীতে সাধ্যতা ভুলে
তুমি কি অমন অস্থিরতায় এলেবেলে?
ছেড়োনা এ হাত গা ভাসাও সতেজ জলে
ঠিক যাচ্ছিলো অসময় ভ্রুকুটি আড়ালে
হঠাৎ কি ভেবে দিলে অন্য ভেলায় ভার
বুনো আকুন্ঠ নিমগ্নতায় হলে নির্ভার!
ভাবছি আমাকে বাঁচাতেই মেনেছো হার
না আমি চাইনি এমনটা বিপরীত সাঁতার
এসো শক্ত হাতের বাঁধন ছেড়োনা আর
তুমি শুনছোনা! ভেলার স্রোতে বেশ দূরত্ব
ভেসে যাওয়া জীবন তুমিহীনা শূন্যতার
আমি খড়কুটো আঁকড়ে স্বপ্ন দেখি বাঁচার।
বাঁচার আকুতি নিয়েই হাহাকার করে ভীড়
তবে কি যেতে চাও দূরে? আসবেনা ফিরে!
নত মস্তকে না'য়ের ভীরুতায় প্রশ্নের ভীড়
আমি মেনে নেবো হার নির্মোহ প্রকৃতির!
যদি স্রোত থেমে যায় সহসা সব হয় স্থির
ফিরে এসে যদি খুঁজে ফেরো স্বপ্ন বালুচর।
পারছিনা ভাসতে আর পারছিনা ডুবি
বড্ড সংকুল জীবন অনাকাঙ্ক্ষিত সবি
কোন পাষাণে এমনতর হলো ভরাডুবি!
জীবন তবে এমন সম্মিলন! ব্যথাভার?
জানি থেমে যাবে ঢেউ রাত্রির অন্ধকার
থেকে যায় কথা বিষাদ ছুঁয়ে কবিতার।