জ্যোৎস্না ধোয়া রাতের স্নিগ্ধ আলো
অবলিলায় ছেয়ে যায় মনের সবখানে,
হাসনাহেনা চম্পা চামেলির মৃদু সুভাষ
দূরে যায় চখাচখি, সচকিত বুনো হাস।
কাব্যিক ছন্দ কথা খোঁজে বাতাস
জলের আলোড়নে জ্যোৎস্না উদাস,
সেখানেও বাদলার অতৃপ্ত ক্রন্দন
তুমি ভুলে গেলে পরান এমন মধুক্ষণ!
ক্ষান্ত হলে অভিমানি পশলা শেষে
মেঘের আঁচল ঘেষে উঁকিদেয় চাঁদ,
রূপালী আলোয় ছেয়ে মাঠ ঘাট
রাত জাগা পাখি অভিমানি নির্বাক।
বানভাসি জ্যোৎস্নায় ভেসে যায় সব
রোমন্থনে শুধু নাছোড় মায়া উৎসব,
ছেড়ে যেতে চায় অপলক চোখে অসহায়
বৃষ্টি নামে বিধুরতায় দৃশ্য ছেয়ে যায়।
জ্যোৎস্না ভেজা রাত উন্মাদ ছলাকলা
শ্রাবণ ক্ষরণে যার ব্যথাতুর অবলিলা,
অমাবস্যা আধারি প্যাঁচার প্রত্যাশা
ক্ষুধার্ত উদরের উপহাস- দূর হও সহসা!
হাজারো উপেক্ষার জ্যোৎস্না স্নাত মন
মুছে যায় আলোকিত স্নেহ বিচ্ছুরণ,
দুঃসহ ব্যথাতুর মায়া প্রেম জ্বালে নিউরন
বাদলা হয়ে ফিরে ফিরে আসে গোপন।
জ্যোৎস্নার রূপালী আলো আর আঁধার
শ্রাবণ কিংবা ঝরে যাওয়া রূপ বাদলার,
সব তার প্রেমময় আলোকিত অলোকার
হৃদ ছুয়ে পাশে থেকো আস্থায় নির্ভার।