এত কবিতা লিখে কি হবে
কবিতা কি কম লেখা হয়েছে?
রবীন্দ্রনাথ, নজরুল,
সুকান্ত, রুদ্র।
আর কত কবির আগমন ঘটলে
বাঙালির চেতনায় বিপ্লব ঘটবে?
আর কত উপন্যাস লেখা হলে
তোমাদের স্মরণ শক্তি ফিরবে।
সমস্ত লেখা ব্যর্থ হয়ে যায় ঐ টিভি সিরিজের মত,
ভুলে যাও কয়েক মাস পরে।
অথচ রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের লেখায় যে আগুন জ্বলবে,
সে আগুনে একশ রাবনের চিতা
হিমালয় হয়ে যেত ।
কিন্তু যেটুকু ছিল সেই হিমালয় তাও আজ গলতে শুরু করেছে।
তোমরা বলেছিলে সেগুলো মিথ্যে।
কি যেন গ্লোবাল ওয়ারমিং-ফারমিং,
সব পাশ্চাত্যের অপসংস্কৃতি।
কিন্তু হায় একি, পাশ্চাত্যের অপসংস্কৃতিকে তোমরা কবে থেকে আলিঙ্গন করেছ?
তোমরা তেড়ে আসো আমার দিকে,
দু এক লাইন রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়ে
শান্ত হয়ে বুদ্ধিজীবীর মত জবাব দাও,
বলে বেড়াও রবীন্দ্রনাথ ত বলেছিলেন,
"মিশেল তহ মানুষেই হয়। "
হ্যাঁ, আমি বলে ফেলতাম,
মিশেলে আপত্তি নেই।
কিন্তু বিষ মিশালে কেন ?
তাদের কাছ থেকে শুধু বিষই আনতে পারলে।
মধু ত আর পারলে না।
কিন্তু না,
আমি চুপ হয়ে যায়।
কারন তোমাদের উপলব্ধি লোপ পেয়েছে।
তোমাদের গান শুনা হয়,
বই পড়া হয়,
সিনেমা দেখা হয়,
ফেসবুকে মানবতার চর্চা করা হয়।
করা হয় একে অপরের দেখাদেখিতে ।
মৌসুমি হাওয়ার মত।
বব মার্লির পোস্টার আছে ঠিকই,
কিন্তু তার চেতনা নেই।
চে' এর টি শার্ট আছে ঠিকই
কিন্তু কে সে, চিনিই না।
লালনের গানে চিল্লায় ঠিকই
কিন্তু এক আনাও ভাব নেই,
আছে শুধু সাধুর কল্কি।
মেটাল মিউজিকের ভক্ত ঠিকই
কিন্তু সেই মেটাল হতে পারিনি,
রেখেছি তাদের লম্বা কোমল চুল।
আর কত উদাহরণ দিব।
আর কত কবিতা লিখব।
আমাদের চেতনায় আজ কোন সার নেই।
খোলস খোলস লাগে।
নতুন প্রজন্ম ভোগছে নতুন এক রোগে।
চেতনাহীন স্মার্ট রোগ।