এই শহরের 'পথশিশুদের'-
মলিন দেহ, বিভ্রান্ত দুটো চোখ,
সারাদিন ঘুরে একবেলা খাবারে-
খুজেঁ ফিরে রাজ্যজয়ের সুখ।
তোমরা যাদের 'পথশিশু' বল-
'পথের' শিশু নয়তো ওরা,
মানুষের ঘরে জন্ম তাদেরও-
মানবাধিকারের প্রাপ্য তারা।
ওদের মলিন পোশাকে রয়েছে-
ভালবাসাহীনতার করুণ ইতিহাস,
রকমারি সাজে সেজে তোমরা-
কর কেন 'মানুষেরে' উপহাস?
তোমাদের টেবিলে টেবিলে-
বসে বাহারি খাবারের মেলা,
সারাদিন কাটে অনাহারে-
ওরা বুঝে তাই ক্ষুধার জ্বালা।
তোমাদের আছে মেদ-চর্বি-
ভূড়িও আছে আধমণ,
ওদের শুকনো শরীর আছে-
আছে এক নির্লোভ 'মন'।
এই শহরের ডাস্টবিনে ডাস্টবিনে-
ওদের খাবার জুটে,
কোনদিন তুমি 'সুশীল' 'ভদ্র'-
ওদের কাছে যাওনিতো ছুটে!
তোমার সন্তানেরে খাইয়েছ তুমি-
নাওনি ওদের খোঁজ,
তবে কেন তুমি সভা-সেমিনারে-
মানবাধিকার খুঁজ রোজ?
মানবাধিকারের জান কি তুমি?
'মানুষ' কাকে বলে শুনি?
যদি জেনে থাকো তবে-
ওদের "পথশিশু" বল কেন জানি?
তোমার সন্তান দালানে থাকে,
ওদের বল কি "দালানশিশু"?
মানুষের সন্তান পথে থাকলেই কেন-
ডাকতে হবে পথশিশু?
এই পৃথিবীর সব শিশু পাক,
মানুষের সম্মান-
হোক না দালান, হোক না পথে,
ওদের বাসস্থান।
সব শিশু পাক সমঅধিকার,
সমান সুযোগ ভালবাসার-
মানবাধিকার কায়েম হবে,
হোক শপথ আমার-তোমার।