কুড়িয়ে গাছের লতাপাতা
নিত্য গহিন বনে,
শুকনো পাতা মরমরিয়ে
স্বপ্নের জাল বুনে।
কেউ বিধবা কেউ এতিম
কেউবা সর্বহারা,
প্রাণহীন সব শুকনো পাতায়
জীবন খোজেঁ তারা।
ঝাটার শলায় ঝাঁটিয়ে ওরা
জড়ায় গাছের পাতা
ঝাটা-ছালা-বনের সাথে
জীবন ওদের গাঁথা।
ঝোঁপের আড়ে পরে থাকা
গাছের চোখা মুড়ি,
ছেঁদোন করে খালি পাটা
রক্ত পরে গড়ি।
মাটির সাথে রক্ত মিশে
ব্যথায় ঝরায় ঘাম,
ক' জনে দেয় পাতা ওয়ালীর
রক্ত ঝরার দাম।
মাথায় নিয়ে পাতার বোঝা
হাঁটে পথে পথে,
হাজার স্বপ্নের হাজার কথা
হয়যে মনের সাথে।
পিতৃহীনা কুমারীটার
মাথায় পাতার ছালা,
মলিন মুখে লেগে আছে
ক্ষুধার তীব্র জ্বালা।
রোদ্রে পুড়ে হয়েছে কালো
মলিন দেহের ত্বক,
মনের মাঝেই পিষ্ট তার
রুপচর্চার সখ।
জ্বলেনা আগুন আপন চুলোয়
শুন্য তাদের হাড়ি,
পরের চুলো জ্বালিয়ে দিতে
ঘুরে বাড়ি বাড়ি।
চিন্তা করে পাতা বেচে
কয় টাকা তার হবে,
তাই দিয়ে কি চাল - নুন আর
মরিচ কেনা যাবে?
ক'খান টাকা অবশিষ্ট
যদি থাকে আর,
কিনে নিবে ব্যথার পথ্য
জনম দুখী মার।
মাথা ব্যথা পেটে ব্যথা
ব্যথা হাড়ে হাড়ে,
বড় ব্যথা জোয়ান মেয়ে
আজো আছে ঘরে।
পথ্য খেলে দেহ থেকে
সব ব্যথা যায় চলে,
ঐ ব্যাথাটা সারবে কখন
কোন পথ্য খেলে ?
হাজার ব্যথার প্রহর ওদের
এভাবেই যায় চলি,
শুকনো পাতায় জীবন খোঁজে
সকল পাতাওয়ালী.....।।