আঙ্গুলের ফাঁকের জ্বলন্ত সিগারেটটা
বারবার দু'ঠোঁটের বুকে মিশে
হৃদয়ের সাথে আলিঙ্গন করে,
গাঁজা প্যাথেডিন আর ফন্সিডিলের নির্যাস
আমার বহমান রক্তকনিকার
শিরা-উপশিরায় প্রবাহিত হয়।
আমি বিচরণ করি তোমার সৃতি থেকে দূরে,
অনেক --অনেক দূরে।
প্রতিটানে মুখে জমে আসা ধোঁয়ার সমারোহে
বর্তমানকে নিয়ে গড়ি বাসর,
অমাবস্যা রাতেও আমি চাঁদের সাথে খেলা করি,
হাজার ভূঙ্গারিকা স্বাগত জানিয়ে করে দোসর।
আমার এই অনাকাঙ্ক্ষিত নিভৃত জীবনে
কোন এক পাষাণীকেও কামনা করি সঙ্গ করে,
ভালবাসার অমৃতে ছলনার
বিষাক্ত নির্যাস পান করে।
আমার অর্ধচেতন নির্নিমেষ দৃষ্টি এখন
তোমার মত স্বার্থলোভী ভোগ্যাকে
কল্পনার রুপালী পর্দায় দেখতেও ঘৃণা করে।
তাই আবারো স্ফটিকের সাজিয়ে রাখা নেশাগুর
আমায় নিয়ে যায় তোমার সৃতি থেকে দূরে,
অনেক --অনেক দূরে।
এখন আমার অনন্তপুরের দরজায় দাঁড়িয়ে
তোমার মতো ঘাতিনীরা হাসতে পারেনা,
কাঁদাতে পারেনা অন্ধবিশ্বাসী
কোন প্রেম নিচিত নিরত হৃদয়।
দূর থেকেই অবনত মস্তিষ্কে
আমায় নমস্কার জানিয়ে চলে যায়,
সিগারেট - দিয়াশলায়ের টুকরো স্তুপের পাশে
পরে থাকে কিছু মায়াবী ছাই,
যেন তুমি আজ তাই!
কখনো একটা ইন্জেকশনের সিরিন্স
পরে থাকে আমার কাছাকাছি,
তোমাকে ভুলার চেষ্টায় -
এই বেশ ভালো আছি।
[কাব্যগ্রন্থ : কামনাহীন প্রতীক্ষা, জাতীয় বইমেলা ২০০৯ইং]