যখন জীবনে বসন্তের ফুল ফুটতে শুরু করেছে,
নতুন স্নিগ্ধতায় প্রতিটি পাতায় শিহরণ জেগেছে,
অনাগত মধুর সন্ধানে দুএকটা মৌমাছির আনাগোনা শুরু হয়েছে,
আমি তখনই তোমাকে বলেছিলাম।
আমার নবযৌবনা আনাড়ি ফুলকে তুমি আগলে রাখো,
তোমার পরিচর্চায় আর পাহাড়ায় যেন ওরা নিশ্চিন্ত হতে পারে।
তুমি তখন আসোনি তাদের আগলেও রাখোনি।
পূর্ণযৌবনা ফুলবাগানে যখন মৌমাছিরা হানাদিতে উন্মাদ হলো,
ভারাক্রান্ত ফুলগুলো যখন দেবার্চনা করতে ব্যকুল হয়েছিলো,
অধীর ব্যকুলতায় যখন তারা রাবনকে রামজ্ঞান করে অর্চনায় মত্ত।
তুমি তখন আসোনি ওদের রক্ষা করতে পারোনি।
দেবতার অর্ঘ্য হয়ে ওরা যখন স্বিকৃতি পেতে চাইলো,
নষ্টের অপবাদে দেবতারা বাসিফুল বলে পায়ে ঠেলে দিলো,
প্রতিক্ষার পরঙ্পরায় সব পুজারিরা ওদের অবাঞ্চিত করে দিলো,
তুমি তখনও আসোনি ওদের স্বিকৃতি দাওনি।
আর আজ যখন সর্বস্বান্ত হয়ে তোমার কাছে ছুটে এসেছি,
তোমাকেই যখন শেষ ভরসা করে সবকিছু জলাঞ্জলি দিয়েছি,
তোমার পূজোপকরণ হয়ে যখন নিজেকে শান্ত করতে চাচ্ছি,
প্রভুগো, তুমি এখন বলছো আমি পাপ করেছি..!
আত্মহত্যা না করলে আমি কিবা করতাম বলো,
রাবনের আহার জুগিয়ে নিজেকে নিঃশেষ করে দিতাম?
শূণ্যমন্দিরে বিরহ আগুনে নিজেকে পুড়িয়ে কালা করতাম?
তুমি সে ধৈর্য আমাকে দাওনি কেন হে প্রভুনিরঞ্জন..?
আজ তুমি এসেছো কৈফিয়ত চাইতে..?
পাপ যদি করি তোমাকে বিশ্বাস করে পাপ করছি,
পাপ যদি করি রামের ভিড়ে রাবনকে না চিনে করছি,
পাপ যদি করি অর্ঘ্যের স্বিকৃতির অপেক্ষায় করছি।
শাস্তি দেবার আগে তুমি শুধু বলে দাও
যে ফুলে পুজো হয়না তুমি তাই কেন আমাকে দিলে?
যে ফুল তোমার দেবতা নেয় না তুমি সেফুল কেন আমাকে দিলে?
এসব জানতে ব্যকুলতায় তোমার কাছে ছুটে এসেছি।
আর আজ তুমি বলছো আমি পাপ করেছি...!