রমণীর দেহ পাইবার তরে
সাধ জাগিয়াছে তার মনে,
উপায়তো নাই পাইবে কেম্বা
হাহাকার ক্ষনে ক্ষনে।
সাধের ভুত ঝ া ড়িতে চাহিয়া
প্রেমেতেই হইল টান
বহু দিন বছর ঘুরিয়া শ্যামলীর
পিছু ঈ নিল সে টান।
হরেক স্বপন হরেক হরশ
অবশেষে পাইয়া,
ভাবনা নাহি নাহি বিলম্ব
মুরুব্বিদিগে দিল জানাইয়া।
নারী দেহের স্বাদ পুরোটাই পায়নাই
গন্ধতো শুকিয়াছে বহু,
ধরিয়াছে দেহ,ছুইয়াছে বক্ষ,অধর
চুমিয়াছে তারে লয়ে বাহু।
ঐ দেহের টানের প্রবল টানে
পাগল হইয়া প্রায়,
ধুকে মন যায় পুড়িয়া
বিয়ে পর্যন্ত নাহি যায়।
পিতার ক্রো ধে বক্ষ ফাটে
চড় মারতে চায় গোপনে,
মা তার ভাঙ্গা ঘর মেরামতে
ছেলের সাথে মিষ্টি আলাপ নে।
বাবা ভাঙ্গা ঘর দোর নাহি
কেমনে আনিব ঘরে বউ,
কেবা তাহার মাইয়াটা দিবো
রাজি হয়নাতো কেউ।
দেখ বাবা পারিস কিনা
একাই করিতে,
ছেলে অবাধ্য বলিয়াও বিবেকটারে
পারেনা লঙ্গিেত ।
কাছের মানুষ বন্ধু স্বজন
বুঝাইয়া বারে বারে কয়
বোনটি তোমার সিয়ানা অতি
তেইশ -চব্বিশ-পচিশ হয়।
বিয়ে যদি করো তবে
সমাজটা হাসবে উচ্চস্বরে,
যত কথাই কহ তবু
পুরোটা কি এড়াইতে পারবা তারে।
আবার থামিল পাগলা ঘোড়া
আসল জানিল আজ বটে,
দৌড়ে সেথায় যেথায় হেথায়
গটক মহাজন তটে।
না জুটিছে উপযুক্ত কেহ
জাত-মান-কুল সবি যাবে,
দিসনা বাপু বোনের বিয়ে
কুমারি থাক যদি থাকে।
আশায় আশায় বক্ষ ফাটে
অশ্রু গড়াইয়া কাথার তলে,
নিজের কপাল দায়ি করে কাদে
ভগ্ন দেহই তাতে মিলে।
পাপ সেতো অবাধ্যতা
বিবেক মাথা নাড়ে,
একার বিয়ে তাও হবেনা
পাছে পরিবার-সমাজ সম্মান কাড়ে।
ধর্মের দোহাই সহায় এখন
রোজায় দিল ডাক,
পাগলা ঘোড়ার লাগাম মিলিবে
এই আশাতেই ঘুরপাক।
কে করিবে কর্ম তবে
পিতা-মাতা-পরিজন তরে,
নিজের দেহ দৈন্য লাগে
ঘোড়ার লাগাম ধরে।
একটা ছুলে আরেকটা যায়
সবাইতো মৌলিক,
কোনটাকে রেখে কোনটাকে ধরে
কনটাকে বেছে নিবে গৌনিক।
বোনের বয়স ভারি হইলে
পাসের বাতাস তিক্ত হয়,
ক্রমেই পাগল শুধু একা নয়
পুরো পরিবার যোগ হয়।
এক নিয়মে কতকাল চলে
সইতে পারা কি যায়,
কেমনে তারে ভুলেই থাকে
কেমনে বা সমাজ টা সামলানো যায়।
বোনের গায়ে ক্ষত বিক্ষত
জিদ আর মায়ার মিশেল তাতে,
পাগলা ঘোড়া সেও থামিল
মুক্তি আর মিলিবেনা কাদিছে নয়ন প্রতি রাতে।