ইচ্ছে করছে,
ঐ নীল আকাশে সাদা মেঘ হয়ে ভাসতে,
ভেসে ভেসে পুরো পৃথিবী ভ্রমন করতে,
সকল হাসি কান্নার সাক্ষী হয়ে থাকতে।
ভ্রমন করতে করতে হয়ত একদিন ক্লান্ত হয়ে পরব,
একঘেয়েমি চলে আসবে
তখন নাহয় একটু স্থির হয়ে দাঁড়াবো,
সবচেয়ে উঁচুতে উড়তে থাকা পাখিটাকে ডেকে থামাব,
তার সাথে আমার ভ্রমন কাহিনী ভাগাভাগি করব,
শুনব তার অবাধ ছুটে চলার কাহিনী।
তার ও তো ব্যস্ততা আছে, সংসার আছে,
এক সময় হয়ত বলবে আজ চলি ভাই,
পরে একদিন নাহয় কথা হবে,
বিদায় নেবে সে।
আবার আমার ভেসে বেড়ানো...
কোন একসময় হয়ত চোখে পড়বে
শহরের সবচেয়ে উঁচু গাছটা উঁকি দিয়ে আমায় দেখছে
কৌতুহল নিয়ে ছুটে যাব তার কাছে
কিরে ভাই, কি দেখছিস আমার দিকে?
হয়ত বলবে তার স্থির দাঁড়িয়ে থাকার গল্প
সান্তনা দিব তাকে, শুনাব আমার ভ্রমন ক্লান্তির কথা,
হয়ত স্বস্তি পাবে সে।
আবার ছুটে চলা...
হঠাৎ চোখে পড়বে দূরের পাহাড়
ছুটে যাব একটু বিশ্রামের আশায়
গাঁ হেলিয়ে শুয়ে পড়ব পাহাড়ের চুড়ায়,
খানিক্ষন বিশ্রাম হবে, গল্প হবে
শুনব পাহাড়ের তপ্ত রোদে পোড়ার গল্প।
এক সময় হয়ত পাহাড় বলে উঠবে,
তোমার ভার আর সইতে পারছি না ভাই,
তুমি তোমার কাজে যাও।
কষ্টে আমার মুখ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে,
আমার কষ্টে সুর্য ও মুখ লুকাবে,
আমার চোখ বেয়ে নেমে আসবে জল,
সেই জলে ভিজিয়ে দিব ঐ পাখি, গাছ, পাহাড় সবাইকে।
পাখি তার পরিবার নিয়ে মেতে উঠবে বৃষ্টি বিলাসে,
গাছ ঝেড়ে ফেলবে তার ক্লান্তি,
গাঁ ধুয়ে নিজেকে করে নিবে আরো আকর্ষণীয়,
পাহাড় ঘুছাবে তার রোদে পোড়ার কষ্ট,
সবাই খুশি
সবার খুশিতে আমিও খুশি,
আমার কষ্টে আড়াল হওয়া সূর্য আবার ফিরে আসবে স্বমহিমায়।
কিন্তু আমার ছুটে চলা যে এখনো শেষ হয়নি,
পাহাড়ের গাঁ বেয়ে ভেসে যাব নদীতে,
সেখান থেকে আবার সূর্যের ডাক,
আমার কষ্টে যে মুখ লুকিয়েছিল তার ডাকে সাড়া না দিয়ে তো আর পারি না,
আবারো সাদা মেঘ হয়ে নীল আকাশে...