ক্ষণে ক্ষণে আসো তুমি হয়তো ক্ষণিকের মতন;
কিন্তু আমার এই নিঃসঙ্গ জীবনে তোমাকে ভীষণ প্রয়োজন।
প্রশ্ন করতে পারো আমাকে; কেনই বা তোমাকে আমার প্রয়োজন?....
হ্যাঁ আমি বলবো তোমাকে শুধু;
আমি দেখেছি তোমার ঐ দু-নয়ন; আমার দিকে তাকাও যখন
কখনো কখনো হয়তো আনমনে নিছক অভ্যাসের বশে,
হয়তোবা তোমার ঐ হেয়ালী চঞ্চল রহস্যময় প্রণয়ের ছলে,
প্রতিবার আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলি তোমার ঐ মায়াবী চাহনিতে।
কাজলের আল্পনায় অঙ্কিত মায়াবী চোখ আর;
উন্মাদ করা উষ্ণ ঠোটে বলে যাও কতো অব্যক্ত কথন।
আর তখন আমি মনের অজান্তে তোমাকে নিয়ে শুধু স্বপ্ন সাজাচ্ছিলাম;
তখন হয়তো আনমনেই প্রিয় কবির কথা গুলো মনের মধ্যে বেঁজে উঠে…….
“তোমাকে যখন সাজাই, তখন শুধু সাজাতেই ইচ্ছে করে।
ঐ আকাশের সমস্ত তাঁরা গুলোকে দুচোখে রাতভর সাজালেও এত সুন্দর হতো না,
যতটা আমার মনের গভীরে তোমাকে সাজিয়েছি”।
আমি যখন আলীক সুখের কল্পনায় তোমার ঘ্রাণ আর নিঃশ্বাসের শব্দে আত্মহারা;
আর তখন তুমি বিভোর থাকো নতুনত্ব আকর্ষণের প্রণয়াসক্তা হয়ে!!!
ক্ষণিকের অতিথি পাখির মতন প্রেমিক নাই বা হলাম তোমার জীবনের;
হয়তোবা তোমাকে আকর্ষণ করার যোগ্যতা নাই বা থাকুক,
কিন্তু আমার সমস্ত সত্তা দিয়ে তোমাকে অনুভব করে অমৃত্যু ভালোবেসে যাবো;
কখনো দূরে সরে যেতে পারবো না তোমায় ছেড়ে।
আড়াল করে নিজেকে নিভৃতে শুধু তোমাকেই ছুঁয়ে থাকবো;
আলো, বাতাস, পানি বা মাটির ধূলোর মতো করে।
তোমাকে নিয়ে এই অনুভব ও আত্ম হাহাকার আর শূন্যতার তীব্রতা যদি ভালোবাসা হয়;
তবে এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি যে, সত্যি তোমাকে আমি ভালোবাসি;
আর কখনোই ভুলতে পারবো না তোমায়।
তবুও একটাই চাওয়া শুধু তোমাকে নিয়ে;
অনাবিল আনন্দ সুখের আবেশে তুমি হও মাতোয়ারা।
জগৎ এর সকল ঐশ্বর্যে মন্ডিত হয়ে থাকো আমার প্রিয়তমা।