এই শয়তানের দল, চুপ কর
ঘাড়ধাক্কা মাইরা বাইর কইরা দিমু
মসিদে আয়্যা এতো চিল্লাফাল্লা করস কিরে?
নাক দিয়া এখনো হিংগিস পড়ে
এখনো দেহে লাাইগ্যা রইছে আউজ ঘরের গন্ধ
আর আইবিনা মসিদে, করতে না পারলে চিল্লাফাল্লা বন্ধ।
এই এই হে-র
ক্যাডা আইছে তর লগে?
তর বাপ কিতা নাকে তেল দিয়া ঘুমা নাকি?
এই করিম্মা
হেরা-রে বিস্কুট দিয়া বিদায় কইরা দে
নামাজ পড়ে পরাম
আগে শয়তানের দল বিদায় কর।
মসিদের মিম্বরে দাঁড়িয়ে এমনই বক্তব্য মারেন সভাপতি
অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখেন সভ্য জাতি।
ব'লে না কেউ তার সামনে দাঁড়িয়ে
এঁরা আমাদের প্রজন্ম, ক্যানো দিচ্ছো তাড়িয়ে।
তাদের হৃদয়ে তুলছো জাগিয়ে হিংসাত্মক মনোভাব
বড় হলে দেখা দিবে মনুষ্যত্বের অভাব।
এই, তরা-রে কতোবার কৈছি
বেতনের ট্যাহা আনতে না পারলে মক্তবে আইবিনা
তরার মা-বাপে কিতা ভাত খায়না, গু খায়!
দোকানে বয়্যা দিহি চা,বিস্কুট,পান,বিড়ি পঞ্চাশ ট্যাহা খাইয়া লা
মাসে একশো ট্যাহা বেতন দিতে পারে না।
বাইত যায়-য়া কৈ-বি
তিনদিনের ভিত-রে ট্যাহা দিতে না পারলে
রাস্তায় নাঙ্গা কইরা ট্যাহা আদায় করাম।
ট্যাহা দিতো না
কেমনে আদায় করতে হয় জানা আছে
আঙুলটা একটু ব্যাহা করতে ঐবো।
গাঁও-গেরামের মসিদ গুলোতে চলে হামেশা
দুর্বলের উপর প্রভাব দেখানো তাদের নেশা।
কেমনে হয় সভাপতি এমন জালেম
যার ভিতরে একদম নেই ধর্মীয় এলেম।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সম্পৃক্ত অধার্মিক
নামাজ-রোজা দেখে না তারা, দেখে শুধু কর্মীক।
সুদখোর, ঘুসখোর সভাপতি মসিদে
ঠোঁট কামড়িয়ে কাটে ঠোঁট সত্যবাদী রশীদে।
জানেনা ইসলামের অর্থ, রাসূলের মহত্ত্ব
খুঁড়তে জানে সত্যবাদীদের জন্য গর্ত।
পড়তে পারেনা কোরান-হাদিস,পড়াতে পারেনা নামাজ
মসিদের সভাপতিতে এমন ব্যক্তিকে বসিয়েছে সমাজ।