আজ তোমার নামে স্কুল, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে
হচ্ছে রাস্তা-ঘাট, স্টেডিয়াম
তোমার স্মরণে সেমিনার হচ্ছে
ফুলের তোড়া সাজিয়ে তোমার কবরে দিচ্ছে।
আজ তাদের কাছে পয়সার অভাব নেই
লুটেপুটে পুরেছে ব্যাঙ্ক
কালো টাকায় বানিয়েছেন জাজিম
সুখ তাদের আকাশে খায় দোল
অথচ, পয়সার অভাবে বিনাচিকিৎসায় মরেছিল তোমার বুলবুল।
তুমি ছিলে বিদ্রোহী বীর, লড়ে ছিলে মজলুমের পক্ষে
এনেছিল অভিযোগ, দ্রোহ করেছিলে রাজার বিপক্ষে
রাজদ্রোহিতার কারনে, দিন কেটেছিল কারাবরণে।
তোমার জন্মজয়ন্তীতে
অনেকে আহবান করছে তুমি ফিরে আসার
তারা হয়তো জানে না,
তুমি ফিরলে ওরা তোমাকে বাঁচতে দিবেনা
সমাজদ্রোহীতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা,মৌলবাদীর অভিযোগে
প্রাণ স্তব্ধ করে দিবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে।
তুমি একশো বছর আগে পৃথিবীতে এসেছিলে
এ যে ছিলো মোদের পরম সুভাগ্য
আমাদের প্রজন্মের কালে ধরাধামে এলে
হাজারো ইসলামী সংগীত সৃষ্টির দায়ে
মৌলবাদী অভিযোগে অভিযুক্ত হতে হতো।
মজলুমের পক্ষে, অত্যাচারীর বিরুদ্ধে
অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
তোমার ঐ বিদ্রোহী কবিতা , রণ সংগীত হলে
রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে, হাজারো স্বাক্ষী দাড় করিয়ে
ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রুদ্ধ করতো তোমার প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর।
কেড়ে নিয়ে বাঁশি, দিতো তোমায় ফাঁসি
মাটিচাপা দিতো তোমার বুকের উপর বসি।
এ জয়গান করতোনা, ভালোবাসার ফুল ছিটাত না
রাখতো না স্মৃতি ধরে বক্ষে, গাল দিতো অলক্ষ্যে।
এ দেশের মানুষ ঘুষ ছাড়া পায় না চাকরি
নথিপত্র আটকে থাকে টেবিলে
রক্ত জলে স্নান করে অধিষ্ঠিত হয় ক্ষমতার চেয়ারে।
এ দেশের হাজারো মানুষ অন্নবস্ত্র পায় না
পায় না সারাদিনের ক্লান্ত দেহ ঠেকাতে বাসস্থান
কোটিপতিরা খায় মেরে গরীবের ত্রাণ
কি করে সহ্য করতো তোমার এ প্রাণ।
এ দেশের মানুষ দিতে পারে না ভোট
লাগতো তোমার বুকে চোট
লিখতে কবিতা, করতে বিদ্রোহ
চড়তে শূলে, দিতে প্রাণ, থাকতোনা কোন মান।