তুমি যদি আমাকে এক পেয়ালা হেমলক দিয়ে বলো
তা পান করে নিতে
আমি নির্দ্বিধায় পুরো হেমলক এক চুমুকে পান করে নেবো।
তুমি যদি বলো জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে সমস্ত দেহে ফুুটো করে
লঙ্কাবাটা মিশ্রিত লবনাক্ত পানিতে স্নান করে নিতে
আমি নির্দ্বিধায় সমস্ত গা ডুবিয়ে আনন্দ চিত্তে স্নান করে নেবো।
তুমি যদি বলো সারারাত জেগে থেকে
তোমাকে নিয়ে একটি রোমান্টিক কবিতা লিখতে
পৃথিবীর সমস্ত শব্দকোষ খোঁজে খোঁজে,
রোমান্টিক শব্দ কবিতায় গুঁজে,
একটি কবিতা লিখে দেবো তোমায় দুচোখ বুঁজে।
মনে আছে তোমার?
তুমি বলেছিলে সিগারেট ছাড়তে
তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে আমি নির্দ্বিধায় ছেড়ে দিয়েছিলাম।
তুমি জান আমি বাউণ্ডুলে
পাড়ার সংসারী ছেলেটির মতো সবকিছু গুছিয়ে আমি চলতে পারবোনা!
আউলা বাউলা চুল আর খোঁচা-খোঁচা দাঁড়ি আমার খুব পছন্দের
এইগুলো কেটে তোমার পুলিশ ভাইয়ের মতো হ্যান্ডসাম হতে পারবোনা।
তুমিও কি ফাতেমার সাথে সুর মিলাতে চাও
সে বলেছিলো কবি-রা নাকি পাষাণ হৃদয়ের অধিকারী
মজলুমের হৃদয় বিদীর্ণ ক্রন্দন নাকি কবিদের হৃদয় স্পর্শ করেনা
এঁরা নাকি হৃদয় ক্যানভাসে ছবি এঁকে রাখে একজনের
আর রাতের আঁধারে শয্যাসঙ্গী হয় অন্যজনের।
কবিরা স্বাধীনচেতা হয়
এদের চলার পথ রুদ্ধ করে স্বাধীনতা হস্তক্ষেপের পদক্ষেপ নিতে নেই!
কবির সৃষ্টি শেকল বেড়িতে বন্দী থাকতে নই
শেকল বেড়ি ছিঁড়তে -
লাত্থি মেরে বন্দীশালার তালা ভেঙে মুক্তির স্বাদ দিতে।
আমি কবি না তবে কবিতা প্রেমী
ছোট্ট শিশুটির মতো হামাগুড়ি দিয়ে কবিতার পথে হাঁটতে চেষ্টা করি
সুর তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করি বাঁশের ভাঙা বাঁশিতে।
এই আউলা বাউলা দেখে যদি কখনো ফিরে এসো
তাহলে কখনো ফিরিয়ে দেবোনা।