চারদিকে সবুজ তৃণাবৃত মাঠ, দূর গগনে খেলা করছে কয়েক টুকরো শুভ্র কাশফুল
মধ্যখানে হাজারো কাশফুলের ভীড়ে আমি একলা একা, কোথাও কেউ নেই, জনমানবহীন সবুজ বিচরণ ভূমি।
দক্ষিণা সমীরণে যখন সাগরের ঢেউয়ের মতো ঢেউ খায়
মনে শিহরণ জাগে, কবি হ'য়ে কবিতা লিখতে সাধজাগে।
প্রশ্ন জাগে, ক্যানো কবি হলাম না এই ভবে?
জীবনানন্দের মতো রাশি-রাশি কবিতা লিখতাম
সবুজের বুকে হারিয়ে, নির্মল কাশফুলের পাপড়ি মাখিয়ে।
আমি হারিয়ে যাই এক অজানা অচেনা মোহে
মাতাল হ'য়ে যাই কাশফুলের শুভ্র ঘ্রাণে
আনন্দ হিল্লোল বহে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দে।
ভালোবাসার এক অদ্ভুত রীতি, যে পোষ মানাতে পারে অতিসহজেই পোষ মেনে তার বশ্যতা স্বীকার করে নেয়।
ভালোবাসায় মৃত গাছে সবুজ কুঁড়ি মেলে
মরুর বুকে ঘাস জন্মায়, ফুল ফুটে
কেবল মানুষ তার উল্টো, পোষ মানিয়ে নেওয়ার পরও হারিয়ে যায়, পালিয়ে যায়, নাড়িভুড়ি নাড়িয়ে যায়।
ইচ্ছে করে ওই টিলার 'পর একটি কুঁড়েঘর বানিয়ে সবুজের বুকে আমৃত্যু বাস করি
চেষ্টা করি কয়েক পংক্তি লিখে কবিতার কবি হতে।
তোমাকে নিয়ে আমার অসম্পূর্ণ কবিতাটি এখানেই বসে সম্পূর্ণ করতে ইচ্ছে করে
সবুজ ঘাসের বিস্তৃত মাঠ, কাশফুলের ঢেউ, পাখির কোলাহল, নীলাম্বরী আকাশের বুকে সফেদ মেঘের লুকোচুরি, সবুজ ঘাসের বুক চিরে আঁকাবাকা দু'পায়া পথ।
আমি যে তোমাকে কথা দিয়েছিলাম মুখোমুখি বসে, পাখির নীড়ের মতো চোখে চোখ রেখে অসম্পূর্ণ কবিতাটি সম্পূর্ণ করবো।
০৩/০৫/২০২২ সৌদি আরব