দূর প্রবাসে আমার স্বামী
তোমার শোকে কাতর আমি!
সোনাদানা, টাকাপয়সা অনেক দামী
তারচে দামী আমার খেয়াল রাখা স্বামী।
খুটিনাটি হলে কিছু, রাগ ভাঙাতে ছাড়ে না পিছু
ক্ষমা করে দাও প্রিয় বলে সে মাথা করে নীচু!
কি রেঁধেছি? কি খেয়েছি? খোঁজ নেই রোজ
নীল শাড়ীটি পড়েছি কি আজ দিয়ে ক্ষানিকটা কুচ।
খুঁজতে যায়না আমার দোষ, রাখতে চায় খুশ
আমি তার মাঝে সারাজীবন থাকতে চাই নিখোঁজ!
শত মানুষের শত কান পড়া, করাতে পারেনি হৃদয় নড়াচড়া
মনটা খুব ভালো মেজাজটা যদিও হয় চড়া।
দূর প্রবাসে থাকো তুমি পালতে আমারে
একলা একা ঘুম আসেনা শীতের নিশিতে!
জানতে চাই যদি কেমন আছো
একমুখ হাসি মাখিয়ে বলো আলহামদুলিল্লাহ।
হাজার কষ্ট বুকে চেপে, কুয়াশার চাদরে গা ঢেকে
মৃত্যুর ভয় উপেক্ষা করে মরুর বুকে গড়ছো ইমারত!
বলো! কিচ্ছু হবেনা তোমার, খোদার পরে -
সঙ্গে ভালোবাসা আছে আমার।
যৌবন ফুরিয়ে বেলা ফুরিয়ে যাচ্ছে
তরী ভেড়াতে পারছোনা তীরে ফেলতে নোঙর
আমি অভাগী বসে থাকি পায়ে পড়ে ঘুঙুর।
যদি বলি বাড়ি এসো, ফুরিয়ে যাচ্ছে সোনালী দিন
বলো! সুদে নিয়েছো ঋণ, সুদখোর উঠোনে বসে থাকে সারাদিন!
ঋণের বোঝা কমিয়ে, পয়সা দু'টি জমিয়ে
সোনার হার বানিয়ে, ফিরে আমার বুকে থাকবে তুমি ঘুমিয়ে।
দিনেদিনে বাড়ছে ঋণ, বাড়ছে দ্রব্যমূল্য
সবকিছুই এখন আকাশ ছোঁয়া, সোনার হরিণ তুল্য!
কখন শোধিবে ঋণ? কখন ফিরবে সোনালী দিন?
খোদা যদি চায় কেটে দুর্দিন, ফিরে আসবে সুদিন।
স্বামী আমার মাটির মানুষ, শিমুল তুলার মতো মন
ইচ্ছে করলে খোদা দিতে পারে অফুরন্ত ধন।
দেয় ধন যারে মন দেয়না তারে
কেবল পাগলেরাই খোদার নিয়ম বুঝতে পারে।