নিষিদ্ধ পল্লীকে সবাই ঘৃণা করে
যাঁরা এই নিষিদ্ধ পল্লী গড়ে তুলেছে
তাদেরকে সসম্মানে অধিষ্ঠিত করেছে সমাজ।
নিষিদ্ধ পল্লীর বেশ্যাকে সবাই গালমন্দ করে --
বয়কট করে কথিত সভ্য সমাজ
রাতের আঁধারে তারা-ই ফিসফিস করে বেশ্যার ঘরে
যাঁরা সূর্যের আলোয় বয়কটের ডাক দেয়।
এই রাস্ট্র নিবারণ করতে পারেনি তাদের ক্ষুধা
দিতে ব্যর্থ মৌলিক অধিকার --
এই রাস্ট্র তাদের কপালে তিলক এঁকে দিয়েছে বেশ্যার।
মুখোশের আড়ালে মুখ লুকিয়ে, এই ভদ্র সমাজে তারা-ই শাসক
তারা-ই আমাদেরকে ধর্মের বাণী শোনায় --
প্রদোষকালে বেশ্যার সাথে উপভোগ করে যৌনানন্দ।
নিষিদ্ধ পল্লীর দিকে তাকানোই পাপ কিংবা মহাপাপ
ওঁরা এই সমাজের ভাইরাস, হেমলক, বদমাশ ইত্যাদি
সমাজপতিরা কখনো চেষ্টা করেনি বেশ্যাদের বেশ্যাত্ব ঘুচাতে।
যাদের ছত্রছায়ায় এই পতিতা পল্লী গড়ে উঠেছে
এই সমাজ কখনোই তাদের বয়কটের ডাক দেয়নি
পাশে বসিয়ে ভোজন করিয়ে আতিথেয়তা করেছে।
একবার কান পেতে শুনিও নিষিদ্ধ পল্লীর দেয়ালে
একবার তাকিয়ে দ্যাখিও নিষিদ্ধ পল্লীর অলিতে-গলিতে
শুনতে পাবে তাদের স্বপ্ন ভাঙ্গার বিভৎস চিৎকার।