একটি বুলেট এসে বিঁধুক আমার হৃৎপিণ্ডে
ঝাঁঝরা করে বেরিয়ে যাক বুকের ওইপাশ দিয়ে
আমি কখনো ওহ্ শব্দটি উচ্চারণ করবোনা
হরিণের চোখ দিয়ে তাকিয়ে ঠিক ল্যাম্পপোস্টের মতো দাঁড়িয়ে থাকবো।
তুমি যখন খবর পাবে হয়তো তখন আমার দাফনের প্রস্তুতি চলবে
সব লজ্জার মাথা খেয়ে যদিও আসো -
তোমার দেয়া টিশার্টে শুকনো রক্তের দাগ দেখতে পাবে
রক্তমাখা কাপড়টা একবার বুকে জরিয়ে
আর একবার নাকের কাছে নিয়ে গন্ধ শুঁকার ইচ্ছে থাকলেও শুঁকতে পারবেনা।
তোমরা কাপুরষ
আমার বুকে বুলেট ছুড়ার দুঃসাহস তোমাদের মধ্যে কারোর নেই
তোমার হাতের অস্ত্রটা আমাকে দাও
দেখো বুকের বামপাশে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ট্রিগার কিভাবে চাপি।
আমার এই কবিতা রাজ স্বাক্ষী দিবে তোমারা নির্দোষ
কেবল আমার অনুরোধে বুকের পিঞ্জরে বন্দী থাকা হৃৎপিণ্ড ঝাঁঝরা করেছো
সবাই বেকসুর খালাসে মুক্তি পেয়ে যাবে।
আমি চলে যাওয়ায় থেমে থাকবেনা এই পৃথিবী
থেমে থাকবেনা ঘড়ির ঘূর্ণনরত কাটা
দুমড়েমুচড়ে পড়বে না পরিবার
বাবা-মা নীরবে হয়তে চোখের জল ফেলবে
হাউমাউ করে হয়তো কাঁদবে রাজকন্যা
পাঁচদিন পেরোলেই চুলোয় আবার শুরু হবে আগের মতোই রান্না।
(চলমান) ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ইং
বড়মুড়া, কসবা