জানি তুমি শুনতে পাবে না।
লাঞ্চনার পথ হেঁটে হেঁটে ও'দেহ আজ বড়ো ক্লান্ত। অসাড়।

নিজ ক্যানভাসে রং তুলিতে রূপ দেয়া যে তুমি এক কল্পনাবিলাস শিল্পী......
জীবন পাতার সুছন্দ কবিতার তুলনাহীন যে তুমি এক রম্যকবি,
মরণ খেলার সেই তুমি আজ মহাকীর্তিবাজ এক খেলোয়াড়!

অবশিষ্ট রাতের ঘুমটা বিক্রি করে দিয়েছ নিতান্তই সস্তা দামে-
সুখ ভুলতে সুখ ফেরি করো; তুচ্ছ করে জীবনের স্বাদ।

জানো…
স্টেশনে পরিত্যক্ত পাঁচমিশালী ধূলা অনাবৃত করে এই সেদিনই প্রথম-
তোমার একটা কবিতা পড়ে দুঃসহ অপরাধবোধে স্তম্ভিত হলাম!

সেদিনে, আর কপাট খুলিনি......
ক্ষুধার্ত শকুনেরা শুকনো  চামড়ার লোভে দরজায় এসে আছড়ে পড়েছে-
ডানা ঝাপটিয়েছে।
কোন শব্দ আমার কানে পৌঁছায়নি .....

এই 'আমি' নামের ভগ্নতরী ভর করে-
ক্ষণিক উষ্ণতার নোংরা নেশায় খরস্রোতা পার হয় কতো বিচিত্র পারি!
আমি তার নিশি-অনিশি প্রতিটি পাপের জলন্ত সাক্ষী।

সেদিন বুঝিনি….
মুষকের ঘড়ায় তোলা গন্ডূষাবদ্ধ সুপেয়-
আমাকে এনে দিতে পারেনি একমুঠো সুখ।
সোসাইটির আভিজাত্য আমাকে দিতে পারেন-
মনের অন্তহীন আঁকা-বাঁকা পথ চলার একান্ত বিশ্বাস।

দোচাল চলার সেই তথাকথিত সম্ভ্রান্ত সম্পর্কের যোগফল-
আজকের হাজারো শকুনের তীক্ষ্ম থাবার রক্তাক্ত অনুভূতি।
বিভীষিকার বর্তমান আমাকে ফিরে যেতে দেয় না স্বপ্নিল অতীতে!

আজ তুমি পৃথিবীর বুকে স্বাগত..
মানস বৃক্ষ, রিক্ত হয়েও জয়ী।
চেয়ে দেখো…
ছবি নয়!
তোমার ক্যানভাসে আমি রঙবিহীন।  স্বশরীরে.. নীরব দৃশ্যময়ী।।

১৮/১২/২০১৬: রবিবার।