মুখ খানি তার দুর্বা কোমল
হরিণীর মত চোখ,
অধরে তার হাসির ঝর্ণা
বাঁকা ঢেউ যেন ঠোট।
কেঁশ যেন তার বৈশাখী মেঘ
মুক্ত বেণি ছড়ানো,
ললাট যেন সৈকতো তট
চিক-চিকে বালু ছড়ানো।
কর্ণে তার তৃতীয়ার দুল
নাকেতে নোলক দুলানো,
কপালে ফোঁটে রক্ত-রবি
গাঁয়ে নীলাম্বর জড়ানো।
বাহুতে তার সোনার গন্ডি
শিমুল কাঁটা কঙ্কণ,
অনামিকাটা হীরার বাঁধনে
মুক্তায় শোভা অঙ্কন।
কন্ঠে তার পুঁতির মালিকা
সুরে স্বরাগম সাঁঝে,
ছন্দ-ছন্দে নৃত্যের তালে
পায়েল খানি বাজে।
কত কথাই যায় যে বলে
না ব'লে কোন কথা,
কত কাব্যই লেখা আছে
সারা অঙ্গে গাঁথা।।
------[-মিটুল]