..........................................
সংসারে ঢুকেই তুমি সাম্যবাদ ঘোষণা করলে...
আমি সাধুবাদ জানালাম...
বিশেষ করে কনিষ্ঠরা একধাপ এগিয়ে।
তুমি হয়ে উঠলে কারো আপা, কারো ভাবী কারো'বা ম্যাডাম..
আমারো লাগে বেশ....!

কিছুদিন যেতেই তুমি সমঅধিকার ঘোষণা করলে;
মধ্যবিত্তের এই টানাপোড়েনে আশাবাদী শ্লোগান তোমাকে জনপ্রিয়তা এনে দিলো সহজেই ...
এবার শুধু চাবির লড়াইয়ে পুরুষপরষ্পরাকে অপবাদ!
মধ্যবিত্তের ঘাড়ে চেপে আর পোষালো না তোমার!
.. শ্লোগান তুললে জোরেশোরে;
"সংসারে প্রত্যেকের স্বাতন্ত্র্যত্ব চাই...
মন্ত্রত্ব চাই, তন্ত্রত্ব চাই, পুঁজিত্ব চাই।"

এমন লুফে নেয়া যুক্তিবাদে তোমার সংখ্যাগরিষ্ঠতা
পেতে আর কতক্ষণ!

অচিরেই- সংসারের চলমান যাবতীয় তন্ত্রমন্ত্র
কলসি ভরে ভাসিয়ে দিলে সিঙ্গাপুর-ফিলিপাইনের
মতো কর্পোরেট বন্দরে...
আশাবাদী দীর্ঘশ্বাসগুলো হাওয়া বন্দি ফাইলে তোমার সর্বোচ্চতলায়।

এই নিচতলা ঘাঁড় বেঁকিয়ে উঁচতলার তত্ত্ব পায় না,
শুধু সংসার জুড়ে ঘ্রাণ শুঁকে সবাই....।
স্বপ্নদেখে সর্বোচ্চতলার....
ঘুমের ঘরে হাত বুলায় ভবনের গায়...
জেগে ওঠার আগেই
বুকের উপর জাঁতামেরে দাঁড়িয়ে থাকে অদৃশ্য মগ্নতা..।আর, ঝটপট ফাইলবন্দিতে সমৃদ্ধ হতে থাকে
স্বপ্নময় বাতাসি ভবন।

কর্পোরেট দৌড়ে মূর্ছা যাই।
শুধু পূর্বপুরুষের গণকবর গুলো
আমার দিকে মৌন চেয়ে থাকে....
চেয়ে থাকে দাদামশায়ের জুনিচক্র কাঠের ভাংগা লাঙলখানা..
মাতামহীর হাতেলেখা কয়েকটা ছেড়া চিঠি..
আর, বাবার হাতে গড়া একখানা পান্সি নৌকো;
যা, আমার পূর্বাপর ইতিহাস বলে জানি।

তাং- ২৮/০১/১৮, রবিবার।