রিসিভারটা তুলতেই..
একটা সন্তপ্ত নিশ্বাস এসে লাগলো গায়।
উত্তাপ! অথচ, পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে চুপচাপ।

আমি এনেস্থিসিয়া সাসপেক্ট.....
লাশকাটা ঘরে ঢুকে যাচ্ছি ক্রমাগত....

"হ্যালো......"
শব্দটায় একটা দগ্ধ সূচ এসে ঢুকে গেল বুকের ঠিক মাঝখানে।
মৌনতার দায়ে ততোক্ষণে ফেরারি আসামী আমি।
শক্ত-মজবুত কোন আর্গুমেন্ট চাই...
কিন্তু, সব এলোমেলো.....
যেমনটি; আকাশ বিভ্রান্ত হয় কালবোশেখির ঠিক আগে
ক্ষণকাল থমকে দাঁড়ায় প্রকৃতি-
তারপর, কানফাঁটা বোঁ বোঁ শব্দ....
দানব তাণ্ডব!
নিমেষেই লণ্ডভণ্ড.. দিশেহারা জনপদ।
নূয়েপড়ে ইচ্ছেবৃক্ষ..স্বপ্নগুলো সব ভূমিসাৎ।

আবারো, একটা প্রশ্ন!
একটা ভোতা পেরেক শাঁই শাঁই করে ঢুকে গেল নৈঃশব্দের অন্দরে,

'হ্যালো, কেমন আছো?'

কী করে বলি!!
জানি নে যে..........
শুধু জানি, তোমার আকাশে জোছনা বিছিয়ে থাকে।
আর আমি....!
জড়োসড়ো...
লুফে নেই কুয়াশার চাদর।
তোমার সাথী তারারা-
চাঁদকে তুমি ভালোবাস।
আমার আছে শুধুই আঁধার..
রাত যে আমার সোহাগ কালো।
তোমার ভোরে সূর্য ওঠে-
স্বপ্ন দেখায় আলো।
আমার কোলের রাত্তির বলে-
নির্বাসনে চলো।।

রচনাকালঃ মিটুল কুমার বোস[ ৩০/১২/১৭ শনিবার]