মনে পড়ে...........?
তোমাকে এক পলক
দেখার জন্য মায়ের বকুনি খেয়েও
ছুটে আসতাম বার বার, পূণর্বার, ফাঁক খুঁজে।
তোমার রেখে যাওয়া-
ধূলোয় আবরিত পদ চিহ্ন
হৃদয়ে আমার আল্পনার রং মেখে দিত।
তোমার নয়, কথা কয়েছি কত.......!
কতই মিথ্যে সাজে খেলেছি ছায়ার সাথে;
তোমার টাঙ্গানো পোষাকগুলোর।
বৌদিরা আমায় পাগলী বলত-
গায়ে মাখিনি।
পড়ার খাতায় কবিতা লিখেছি,
দিদিমণিরা বকা দিয়েছে-
লজ্জ্বা পাইনি।
টিফিনে স্কুল পালিয়েছি বলে
বাবার হাতে মার খেয়েছি-
কস্ট পাইনি।
তবুও তোমাকে এক পলক দেখার সুযোগ
হাতছাড়া করিনি।
আমার অচিন পাখিটা ছটফট করেছে-
আছাড়ি খেয়েছে, বিছাড়ি খেয়েছে,
তোমার তাতে কিচ্ছু যায় আসে নি, তুমি থাকতে
তোমার খেয়ালে।
আমার অস্ফুট বেদনা
গুমরে কেঁদেছে আঁচলের অন্তরালে।
ভাষা পায়নি কন্ঠ
ভয়ার্থ পিপাসায় থরথর করে কেঁপেছে জিহ্বা,
কাতর আমি- অব্যক্ত হুলে, ক্ষত-বিক্ষত যন্ত্রণায়
ছটফটিয়েছি রিক্ত-অন্তর্দহনে।
দিনের পর দিন-
তোমার অবহেলায়, আমার
সহজ-সরল ইচ্ছেগুলোর অপমৃত্যূময়
শবদেহের স্তূপ-- আমার হৃদয় খন্ডকে
তিলে তিলে পরিনত করেছে এক
মহা-শশ্মানে।
এখন আমার -
মৌসুমের টেনে আনা সেই প্রথম বৃস্টির মত
আর কোন অনুভুতি নেই।
স্পর্শে আসে না শিহরণ-
নেই অপেক্ষার নির্বাক চাহনি,
উষ্ণ চুমুকে লাগেনা পুলক-
ভেজে নাতো আটপৌরে আঁচল, কাটেনা প্রহর
বালিসের শুভ্র কভারে হাত বুলিয়ে।
শুধু! একখন্ড ভগ্ন অতীত-
একখন্ড পোড়া দু:স্বপ্ন--
আমার ঘুমটা কেড়ে নিয়েছে।
কিন্তু!.. কেন....?
একমাত্র---
তুমিই পারবে বলে দিতে।
কেননা, আমিতো এখন আর
সেই গ্রাম্যপুকুরের শেওলার সাথে জড়াজড়ি করা আটপৌরে শাড়ী পরি না।
না, না! ওটা রেখে এসেছি সিকেয় তুলে
আমার ভেজা ভেজা স্বপ্নগুলোকে
গিঁটে গিঁটে যত্ন করে বেঁধে।
তুমি কি পারবে না একটিবার-
গিঁটগুলো খুলে ওদের মুক্ত করতে ?
দেখবে ওদের ভেজা ভেজা চোখগুলো
লাল পদ্মের মত রক্তিম হয়ে আছে।
কৈশরের কাঁচা কাঁচা বেদনার
অস্ফুট আকাঙখায় - এখনো প্রার্থনারত।
শুধু,_
---- তোমার একটা উত্তরের জন্য।।
মিটুল কুমার বোস
রচনাকাল:(১২/১২/১৬.সোমবার)