কবিতা.............
তুমি বড় স্বার্থপর!
বড্ড একপেশে।
যখন তখন ইচ্ছেজাগা সাড়া তোলো মনে।
দূর ছাই...
চুরি করে কি পরকীয়া ভাল্লাগে!
পাশেই বিরহীর কাতর চোখ-
নিবিড়তা বর্ধনের সংসারী পাতা দুটো ক্লেসে টইটুম্বুর
আমায় দু দন্ড শান্তি দিতে চেয়ে থেকে থেকে ক্লান্ত।
তুমি সজোরে ধরে রাখ আমায়-
আটকে রাখো অক্টোপাসে।
এ চোখ তোমার ভাষা পড়তে চায় না।
যে তোমার ভাষা বোঝে সে তো কবি!
আমিতো কবি নই!
হতে চাইও না।
কবিদের ঘর নেই, ঘরনি নেই।
জাত নেই, জাতের বিচারও নেই।
চেয়ে দেখো!
কতো নির্ভরতা, কতো আস্থায় মৃগ শাবকের ন্যায়
আমার ক্রোড়াগত হতে তার অর্ধচেতন হাত দুটো
আমারই সীমানা খুঁজছে।
আমার চেতন যুগল
জগতের সমস্ত অবসর নিয়ে মুহুর্তেই ঐ ডাকে সাড়া দিতে চায়।
কিন্তু পারে না,
তুমি ঘা'মেরে আমায় ফিরিয়ে আনো।
আমার মাথা ঝিম্ ঝিম্ করে, চোখ ছিড়ে পড়ে।
কৈ! তুমিতো ও'র মতো
আমার মাথায় সর্বঔষধি হাতটা বুলিয়ে দাও না!
নিঃশব্দে প্রেয়সী আঙুলে কপালটা টিপে দাও না!
আমি তোমার শব্দ রাজ্যের আনাড়ি বিউটিশিয়ান,
হাতে ধরিয়ে দাও কথা সাজানোর যন্ত্র।
যন্ত্র-যন্ত্রণায় আমি ক্লান্ত হয়ে লুটিয়ে পড়ি,
তুমি আমার ঘুম কেড়ে নাও,
আমায় এক লহমার স্বস্তিও তো দাও না!
আমি অসহায়!
মন দজ্জাল পরকীয়ার ফাঁদে কেঁদে কেঁদে আকুল হয়।
একফোঁটা দয়াও তো তোমার আসে না!
সে তো তুমি নও….
যার পরাণ পারলে এক মুহূর্ত চোখ সরাতে চায় না-
অপেক্ষায় চেয়ে থাকে চোখ
দরজায় ফেরার ডাকটি কখন শুনবে…?
বিছানার ভাঁজেভাঁজে যে আমার গন্ধশোঁকে,
সব গচ্ছিত উজাড় করা ভালোবাসায় যে আমার হাতে হাত বাঁধে
ঘুমজাগা প্রাতঃস্নানে যে চাঁপা হাসি জাগাতে
আমার জমিনেই সিঁদুরিয়া আঁকতে চায়-
সে বিরহিয়া পাশাপাশি কোলঘেষে থেকেও লক্ষ যোজন দূরে-
ছায়া সতীনের ঘরে সে একাকীই পড়ে রয়।
কাকডাকা ভোরে রাতের আশ্রয় ছাড়ার প্রস্তুতিতে
পাখি যখন ডানা ঝাপটায়;
তুমিও তড়িঘড়ি করে নিন্দা অপবাদের ভয় দেখিয়ে
লোক লজ্জার অজুহাতে
বাসি বস্ত্রের মত আমাকে ঝেড়ে ফেলে-
অন্যকোনো পরলোকের হাতধরে অন্তঃচক্ষুর অন্তরালে
কোথায় যেন পালিয়ে যাও..?
আমার রাতজাগা পাপী কুয়ো-চোখ
নিশ্চিত অভিসার বঞ্চিত বেদনায় সম্বিত দিয়ে ওঠে..
দূর ছাই!
চুরি করে কি পরকীয়া ভাল্লাগে!!
মিটুল কুমার বোস।
রচনা:[ 07/01/16শনিবার]