কালো বলেই ভালোবেসেছিলাম তোমায়।
সমস্ত কৈশরের অনুভব দিয়ে যৌবনে ফুল ফোঁটালাম-
শৈশবের অবুঝ স্বপ্ন দিয়ে পাপড়ি সাজালাম।
ভেবেছিলাম তোমার ডানায় ভরকরে জীবনের সাতরঙা স্বপ্ন উড়াবো- গাইবো ঋতুরগান।
কখনো বসন্তের, কখনো শরতের, কখনো বা বর্ষায় ঘুরে যাবো মেঘের দেশে।
সর্ষে-হলুদে একটা চাদর বানাবো আসন্ন শীতে।
কাশ বনে ভুলেও যাবো না।
দুধ-সাদা গর্বে যদি ওরা তোমাকে তুচ্ছ করে- সইতে পারবো না ব'লে!
বসন্তবাগানে একটা দোলনা বানাবো।
তোমার কোলে নিশ্চিন্তে মাথা রেখে দোল খাবো দু'জন।
তুমি গুনগুনানী গাইবে-
ও'সুরে কী আছে যাদু জানিনা!
তবে একটাও স্বরলিপি পেলাম না, যা' দিয়ে ও'গান আমি গাইতে পারি।
তখন বুঝিনি!
ও'গুনগুন ; এ' মোহিত চোখে আনে স্বপময় ঘুম।
সেই ঢের ভালো ছিলো!
কী লাভ জেগে বলো ?
জাগাচোখ যদি তোমায় না দেখে!
তখন কী জানতাম?
তোমায় যে ফুলেরা ভালোবাসে-
ফুলের বাহার সব ভ্রমরেরই সোহাগ পেতে।
তুমি কালো বলেই সুখেরকাঁটা বুকে বিঁধি-
তুমি কালো বলেই তোমায় ভালোবাসি।।
>>>>> মিটুল কুমার বোস [13/03/17>11.10]