আজকাল…..
শরীরটায় আর আগের মত জোর পাই না,
হাঁপানির টানটাও বেড়েছে বেশ…!
নিঃশব্দ রাত্রির স্তব্ধতা ভাঙ্গে-
একমাত্র কোলাহল বুকের শাই শাই শব্দে....।
কোথাও কেউ নেই...........
এখন অনেক কাছের মানুষগুলোও
অনেক বেশি দূরে-দূরে সরে থাকতে চায়।
নিতান্ত কর্তব্যের খাতিরে
খাবারের পেয়ালা হাতে যা দু'একবার কারো বা আসা-যাওয়া--
হাজারো ব্যস্ততার ভীড়ে ইদানিং সেটিও দুর্লভ হতে বসেছে।
একেবারেই কাজ নেই আমার-
এখন আমার পূর্ণ বিশ্রাম…..।
কর্মসংস্থানের শেষ ভরসা-
বাজারের ব্যাগটাও এখন নতুন চাকরের দখলে।
শরীরের অক্ষমতা আমকে পরবাস দিয়েছে আপন নিবাসেই.......
ভুলে গেছে সবাই!
শুধু ভোলেনি- আমার পোষা পুরনো কুকুরটা।
ও'র নাম ভোলা।
বাড়ীর পেছনের আমতলার ছোট্ট একচালাটা;
এখন আমার থাকার ঘর।
ভোলা আর আমি একসঙ্গেই থাকি।
কখনো কখনো সৌহার্দ্যের অতি স্পর্ধায়
ও' আমার খাবারের থালায় ভাগ বসায়।
পরম তৃপ্তিতে শুকনো থালা চেটে চেটে-- ও' খুঁজে পায় জীবনের স্বাদ।
একটুও অভিযোগ করি না আমি......
তবু ভালো.........
ও'র মানবিকতাটা অন্তঃত
হাই সোসাইটির গ্যাঁড়াকলে দম আটকে যায়নি!
মূল্যবোধের মাথা খেয়ে ও' নিজের মাথাটাই হারিয়ে বসেনি।
ও'র চোখেই আমি স্বপ্ন দেখি নতুন পৃথিবীর.....
আর, তীর্থের কাকের মত প্রতীক্ষিত মন
পেতে চায় পরম নিশ্চিন্তে মহাকালের ছুটি...।
তবু, কখনো কখনো অতন্দ্র প্রহরীর নিস্পলক চোখে-
শংকিত স্বপ্ন-গুলো শিহরিয়া ওঠে!
আমার খোকা যে বড্ড ছেলে মানুষ........!
এই আমার বয়সে খোকাও যে একদিন আমি'ই হবে---
ও' পারবে তো.........!!
মিটুল কুমার বোস।[২৮/০৩/১১]