আমায় তুমি মনে করো..?
সেই আমাকেই..!
পুকুর ঘাটে পা ঝাপিয়ে ঢেউ খেলো..
জলে ভাসা রাতের চাঁদে গল্প করো...
জোছনা ছুঁইয়ে জোনাক বুকে চুমু আঁকো..?
সেই আমাকেই..!
আজো কি সেই একলা পথে
গুনগুনিয়ে সুর তোলো..?
সুরের মাঝে নামটি ধরে
হঠাৎ আমায় গেয়ে ওঠো..?
সেই আমাকেই..!
আকাশটাকে স্বাক্ষী করে
ঘুড়ির চিঠি আর লেখো..?
লাটাই দিয়ে মাটির বুকে-
চুপটি কথায় যতন করে-
কবিতা কি আর লেখো..?
অশ্বত্থ সেই গাছটা কি-
দিঘির পাড়ে আজো আছে..?
কী যেন নাম দিঘিটার ঐ..?
সারাবেলা পৈ পৈ..
আমার কথা মনে পড়ে..?
সেই আমাকেই..!
বৃষ্টি এলে কচুপাতা-
খানিক বাদে ভিজে সারা
এই আমি সে বাঁধন হারা
মনে পড়ে সে সব কথা..?
সেই আমাকেই..!
আজ তোমায় মনে পড়ে-
ভীষণ পড়ে-
যখন তখন ইচ্ছেমত মনে পড়ে-
ভীষণ রকম মনে পড়ে..
সেই তোমাকেই..!
বৃষ্টিরঙা আকাশ যখন জানলা পাশে-
সেই দিঘিটা ছলাৎছলাৎ চোখেই ভাসে।
গদ্য-পদ্য কতোই কাব্য এই দেহেতে
মিথ্যেনাটক ফুলশয্যা প্রতিরাতেই।
রাতের তারা বাসিই ঝরে ভোরবেলাতে-
এই আমাতেই!
তোমার কথা মনে পড়ে
এই আমাতেই..।
যেদিন তুমি আকাশ ভেঙ্গে
আনলে পেড়ে প্রথম চুমু
কেঁদেছিলাম সারারাত
ভিজিয়ে আমার আঁচল-তনু।
আজো কাঁদি,
কেঁদেকেঁদে আগুন লিখি
আগুন ধরে পুড়তে শিখি
ভীষণরকম জ্বলতে শিখি
দগ্ধ ঘা'য়ে তোমায় পুষি..
সেই আমাতেই..!
তোমার কথা মনে পড়ে
তোমার কি গো মনে পড়ে?
সেই আমাকে!
এই আমি যা ছিলাম তোমার..
সেই তোমাতে!
মনে পড়ে...
সেই আমাকে..!!
মিটুল কুমার বোস [ ২৩/০৯/১৮,রবিবার]