আজ মানবতা বিপন্ন পিশাচের হাতে,
আজ দরিদ্রের হক যায় লুটপাটের ভাগারে।
ভাইরাস মহামারির চেয়েও আজ ভয়ঙ্কর তারা,
ত্রানের অর্থ সামগ্রী আজ নির্লজ্জ লোপাট করা।
তারাই আবার প্রতিনিধিত্ব করে জনসমাজে,
নির্লজ্জের মত আবার অভিভাবক সাজে।
প্রতিনিয়ত মিথ্যা বুলি ছুড়ে ছুড়ে,
নিরীহ মানুষের সাথে সদা প্রতারনা করে।
নিরীহরা ক্ষুদায় কাবু, অনাহারে দিন পাত করে,
দেশের সংবিধান সে নিম্নবিত্তের আবার
পূর্ণ অধিকার দান করে।
কিন্তু সে অধিকার আজ পুস্তকে আবদ্ধ,
রাজনীতি যেন ভোগ দখলের পেশায় পরিণত।
জনতার অধিকারের তরেই নেতা হয় নির্বাচিত,
সে নেতাই কেন তবে হক হরনে ব্যাস্ত অবিরত।
ন্যায্য কথা বলার মানুষ নাহি পাই,
আবার বলতে গেলেও লাঞ্চনা ফিরে পাই।
বঙ্গবন্ধু, হে পিতা! আরেকবার তোমার গর্জন চাই,
তোমার তর্জনির নির্দেশিখা আজ জাতির পরম অভিপ্রায়।
তোমার সে অমিয় বাণী অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত,
চোরের ক্ষনি এখনো কেন কানায় কানায় পরিপূর্ণ?
গরীবের হক হরনে যতই হও সচেষ্ট,
হাসরের ময়দানে হিসেব দিতে প্রস্তুত থাক পাপিষ্ট।
আপনার পরিবারে চোখ পেতে দেখ,
লজ্জায় তোর চেহারা তবে
ভাসিবে বিভৎস ইবলিস সম।
সময় থাকতে সাবধান হওয়া চায়,
জনতা জাগলে তোদের রক্ষা নাই।
বায়ান্ন-একাত্তর-নব্বই ভুলি নাই,
আবার তোদের জ্ঞাতার্থে সুধাই।
যাদের রক্তে দেশটা গড়া
পৌছায় যেন ন্যায্য পাওনা।