৩রা ফেব্রুয়ারি রাত!
উৎকণ্ঠা ভরা আবেগী সময়।
৪টা ফেব্রুয়ারি সম্ভাবনাময় ভোর,
কত আশা কত ভাবনার ধৈর্য্য ধারন।
অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষন!
সকাল আটটা বেজে নয় মিনিট তখন।
সব জল্পনা কল্পনা অবসানের পর,
প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর প্রথম প্রহর।
কোল জুড়ে এল দেবদূত যেন,
ছড়িয়া স্বর্গের আলো ঝলমল।
কিন্তু হঠাৎ কি কালো মেঘের আচ্ছাদন!
প্রকৃতিও বুঝি তাই করছে ক্রন্দন।
কান্না করিলাম মোরা বটে,
কাদিল না সে ছোট নিস্পাপ প্রান।
মায়ের তার কি আহাজারি
তবুও আশা হয়ত ফিরিবে বাড়ি।
চারিদিনের অসীম সংগ্রাম
নিস্ফল করি সব চেষ্টা।
৭ ফেব্রুয়ারি রাত এগারটা পঁয়তাল্লিশ মিনিট
স্বর্গের পানে দিল পাড়ি
যেন যাওয়ার ছিল আহাজারি।
বিষাদের অতল পাথারে দিয়ে ছুড়ে
ফিরিল না সে আর।
দেখিল না চেয়ে একটিবারের তরে
মা তার যেন বিবাগী কোন প্রাণ।
সাধ্য আছে কার বুঝায়ে শান্ত করিবার
পাগলীনি রূপ দেখে নেত্র ঝরে বারি।
নিরুপায় হয়ে শুধু বুকে জড়ায়ে ধরি
অভাগা পিতা যেন পাথর করি হৃদয়।
দুই হাতে লইয়া ছোট দেহখান,
শোয়াইয়া দিলেম তারে পোস্তগোলা শ্বশান।
স্বর্গীয় সুভাসিত তার সারা অঙ্গ,
নিথর যেন ঘুমাইছে ছেড়ে সকল সঙ্গ।
তবুও তার তরে চির আশির্বাদ
আমার ক্ষণস্থায়ী দেবদূত।