চম্পক খুঁড়ো সাধ করেছে
বিয়ে করবে বটে,
বুড়িটা যে তার গেলো বছর
পটল তুলে, পাটে।
খুঁড়োর বয়স খুব তো নয়
চার কুড়িরই কাছে ,
মাথায় একটা প্রকাণ্ড টাক,
সামান্য চুল আছে।
পান খেতে খেতে দাঁতের পাটি
হয়ে গেছে কাশীবাসি,
ফোকলা দাঁতে সে হেসেই বলে
"ডাগর বউ রূপসী,
রাখব রসেবশে।"

এ হেন চম্পক খুঁড়ো
চললো বিয়ের সাজে।
মাথায় গন্ধ তেল,
আতর গায়ে ফুলেল।
কাঁধে শাল গিলে করা
পাঞ্জাবীতে ধুতি ধরা।


মেয়ের বাবা মদনা সোরেন
চাষ করে ভাত খায়,
পেটের দায়ে টাকার লোভে
মেয়ে তুলে দিতে চায়।
তার একটুও লাজ নাই ।  
মেয়ের বয়স খুব বেশি নয়,
মাত্র বার কি তেরো।
চোখে তার অনেক স্বপ্ন,
হবে অনেক বড়ো।
বিয়ের তার একদম নেই মত
ভেবেই পায় না কুল -
কিভাবে সব করবে বরবাদ।

ওই দিকে তে চম্পক খুঁড়ো
মেয়ের বাড়ি হাজির,
কচি কচি শালী দেখে তো
এক্কেবারে হেসেই অস্থির.
আদর করে শালীরা সব
পান মুড়ে সেঁজে দেয়,
চম্পক খুঁড়ো সেই পানগুলো
হেসে হেসেই খায়।
পানে ছিল বেজায় চুন
আর ভাং এর গুলি,
তোবড়া গাল পুড়ে খুঁড়ো,
নেশায় করে আকুলিবিকুলি।

নেশার ঘোরে খুঁড়ো শুধুই
খুঁড়ির গলাটা  পায়,
ভয় পেয়ে খুঁড়ো বলে
বিয়ে করব না ভাই।
পালাই পালাই ...
ওরে, নেপলা ক্ষ্যাদা বুচি
চল পালাই পালাই...
পড়িমরি করে খুঁড়ো
জুতা হাতে চল পালাই...

                                  (কৌতুক).