বর্ষা পেরিয়েছে!
মাঠ গুলো এখনো নাক ডুবিয়ে আছে বর্ষার জলে
শাপলা-শালুক জড়িয়ে মাছেরা ছায়া খোঁজে
সাদা বক আর পানকৌড়ির দল ডুব দেয় প্রাপ্তির সন্ধানে।
লাঙ্গলের ফলায় কৃষক ভবিষ্যত বোনে;
ডোবার জলে গোধূলির ছায়া পড়ে
সঞ্চিতার শাড়ির মতো মনে হয়।
সঞ্চিতা! হৃদয় কোণে জমে ওঠা
শিশির কণা কিংবা অশ্রু জলের মতো।
এই বিল-ঝিল মনে করিয়ে দেয় সেই না...
হায় সঞ্চিতা
কতোদিন ঐ নীল চোখের সমুদ্রে
সাঁতার কাটি না দুরন্ত বালকের মতো।
কতোদিন এই শীতল দেহ ছোঁয়ান তোমার উষ্ণ দেহ
কতোদিন ঘামে ভেজে না রাতের বিছানা।
আজ বসন্তের রং ছড়িয়ে দিব্যি সংসার করছো
ব্যবসায়ী স্বামীর!
সিঁথিতে লম্বা সিঁদুর, হাতে সাদা শাঁখা
চুলগুলো হাওয়ায় দুলিয়ে হেঁটে যাও।
সারা দেহে তোমার কোন এক বিষাদের ছায়া
এখন পূর্ণিমার জ্যোৎস্না ঝড়া রাতে
কঙ্কন নদীর জলে পা দুলিয়ে
ধবধবে ঐ চাঁদ দেখনা সঞ্চিতা!
শাঁখ বাজিয়ে
ধুপ ধু নোয় পূজো করো দু’বেলা
ভগবানের দরজায় কি প্রার্থনা করো
সে খবর আমি রাখিনি।
শুনেছি স্বামী তোমার মদ্যপ হয়ে মরেছে কাল
শেষ দেখেছি তোমার কঙ্কন নদীর ঘাটে
কাদা জলে মাখামাখি নিথর দেহ
শেষ বারের মতো দেখেছি ঐ নীল চোখ।