মাটিমুখো জীর্ণ বাড়িটি ভাবে আহা কি সুখ ওখানে!
সাহেবি কেতায় সাজানো গড়ন,
মনে হয় এই বুঝি ঘুরে এল,
কোন জাদুকরীর স্বপ্নীল পরশের নিজস্ব সোপানে।
বোগানভেলিয়ার আপন দ্যুতি কেমন ছড়িয়ে থাকে,
ওর মার্জিত অস্তিত্বে, স্মিত অহংকারে,
রক্ষীবাহিনী জাগ্রত সদা সুরক্ষায়,
স্থাপত্যের সচারু বিভঙ্গ বেতস শরীরের প্রতি বাঁকে।
খেলতে এসে বাতাস অপেক্ষা করে চলে যায় ঠিকই,
তাতে কি? সবাই তো কেমন মন্ত্রমুগ্ধ!
আমার চারপাশে তুচ্ছ ভেরান্ডার বেড়া,
সন্ধ্যায় কিছু জোনাক, সকালে ক’ফোঁটা শিশির, আর কি?
কাঁপা হাতে জ্বালায় প্রদীপ জীর্ণ বাড়ির শীর্ণ কর্ত্রী
শঙ্খধবনি মঙ্গল বার্তা পৌঁছে দেয়
বহুতলের শিকড়ে, স্থাপত্যের বন্ধন -
ছেড়ে, মাটি মেশে মাটিতে, হতে চায় সুধন্যা ধরিত্রী।