ওই যে দূরে পাহাড়গুলি,যাচ্ছে দেখা চোখে ৷
তাঁদের মধ্যে শেষেরটি হয়তো;দেখতেছিল মোকে ৷
আকৃতিতে ছোটোই ছিল,যেন পাহাড় কন্যা ৷
রূপ-রস-গন্ধ দ্বারা সজ্জিত এক অনন্যা ৷
আকর্ষিত করল আমায়,অদ্রি অবশেষে ৷
যতই যাচ্ছি দূরে সরে,ততই আসছে কাছে ৷
সরতে সরতে পৌঁছেই গেলাম,তাহার নিকটে ৷
ভোরের আলো পেয়ে তখন,প্রসূন ফোটে-ফোটে ৷
অদ্রিশিখরের নিম্নদেশে ছিল এক বনানী ৷
অবিরত ঝরতে থাকত,ঝর্ণার স্বাদু পানি ৷
প্রবাহিত হয়ে স্বরিত্,যাচ্ছে খরস্রোতে ৷
কলকলিয়ে ডাকছে আবার,আমায় যেতে যেতে ৷
চঞ্চল হরিণী করছে খেলা,ঐরাবতের সনে ৷
আর,পতত্রীরা গাইছে কূজন,হারিয়ে গহীন বনে ৷
তরুণ তরুরা ছাড়ল পালঙ্ক,পবনে স্কন্ধ নেড়ে ৷
ঊষসী তখন আলোর বস্ত্রে,সাজল নতুন করে ৷
সমগ্র নীল আকাশ জুড়ে,মেঘের ভেলা ভাসে ৷
অর্ক তখন অদ্রি দেখে দুষ্টু-মিষ্টি হাসে ৷
এমতাবস্থায় অদ্রি আমায়,বলল--তুমি কে ?
আমি বললাম,যাহা তুমি,মনে করো আমাকে ৷
রামের যেমন সীতা ছিল;রাধার ছিল শ্যাম ৷
আজকে আমার পাষণ্ড হৃদয়ে,জেগেছে কারোর প্রেম ৷
দেখতে চাই;যার নাম তোমার পাষণ্ড হৃদয়ে লেখা ৷
লাজুক হেসে বলল অদ্রি,সে বলছে সনে কথা ৷
ভ্রূকুঞ্চনে বললাম আমি,সঙ্গে তবে চলো ৷
তাহার পূর্বে তোমার নামটি আমার কানে বলো ৷
অক্ষম আজ,অজ্ঞাত মোর,নামটি বলতে প্রিয়া ৷
পারলে তুমি বুকে লেখো,প্রেমের হাতটি দিয়া ৷
তোমার প্রেমে মুগ্ধ আমি,গর্বিত শেষ অদ্রি ৷
আজকে থেকে তুমি হলে চরাচরে মোর "শেষাদ্রি ৷"
পাষণ্ড অদ্রির মনের গভীরের সুপ্ত প্রেম-কাহিনী ৷
জন্মান্তরেও রাখবো স্মরণ;কথা দিলাম সঙ্গিনী ৷
স্বীকৃতি দিলাম আমার প্রেম,লিখে তোমার বুকে ৷
প্রামাণিকতায় প্রেমাশ্রু পড়ল,বুক গড়িয়ে মুখে ৷
তুমি যদি হইতে শেষাদ্রি,সত্যি নারীর মূর্তি ৷
প্রেমের সিঁদুর সিঁথিতে দিয়ে,বাসতাম ভালো শাশ্বতী ৷