রক্তিমা আলতা তব পদ তলে;কর্ণে কনক যুগল দুলে;হস্তে কাঁচের ওই চুড়ির ছলে ৷
উথাল-পাতাল অদ্য বইছে পবন;মধ্যম মধ্যম ছুটছে গগন;দ্বিজের কূজনে তদা ব্যস্ত কানন ৷
কলসী হাতে লয়ে কন্যা;কোমল বস্ত্রে পরিহিতা অনন্যা;বধূ সেজে যাচ্ছে ফেলে,আঁচলাখানি সুকন্যা ৷
দূব্বা ঘাসের মাঝে পতিত;শিউলি তলায় শিউলি সজ্জিত;মাড়িয়ে যাচ্ছে রঞ্জিতা পায়ের আলতা লোহিত ৷
প্রবাহিত গ্রাম্য কল্লোলিনী;কন্যার অমন রূপে রঙ্গিণী;আত্ম-তৃপ্তিতে ডাকছে নিতে,কলসী ভরা পানি ৷
মন্দে মন্দে সে গেলো চলিয়া;হাতের কলসী বক্ষে ধরিয়া;ভরা গাঙে জল আনবে বলিয়া ৷
প্রাণোচ্ছলে বলছে কথা;ধরণীর সব মুক্ত ব্যথা;দেখতে দেখতে পৌঁছেই গেলো ঘাটের নিকটে যথা ৷
উপুড় হয়ে কন্যা বসিয়া;নদী মাতাকে ভক্তি জানিয়া;কলসীতে জল ভরতেছে,সেই ঘাটে নামিয়া ৷
ঘাটে উঠে মুখ ফিরায়ে;নদী মাতাকে শুভ বিদায়ে;যেই শুরু করল গমন,কলসীখানি লইয়ে ৷
অমনি পথের বাঁকের মাঝে;টগর-ফুলের সুরভিত ঝাঁঝে;দেখতে পেয়ে হাঁটছে কন্যা,জ্যোত্স্নালোকিত লাজে ৷
অতঃপর কন্যা এল সামনে;একদৃষ্টিতে আননের নয়নে;কিবা স্মরণ হতেই প্রেম জাগাল গভীর চুম্বনে ৷
অবশেষে তার হস্তরেখায়;লেখা ছিল আমার দেখায়;একে 'পরকে দেখিবা মাত্রই গেলাম,প্রেমে হারায় ৷
লজ্জিত হয়ে কন্যা সুধায়;তুমি আমার প্রেম দুনিয়ায়;অপ্রত্যাশিত রূপে প্রেম ভবে,এনেছ কুড়ায় ৷
রূপ-রস-অঙ্গসৌষ্ঠব দেখে;টগরের সৌরভকে সাক্ষী রেখে;তোমাকে ভালোবাসি সুকন্যা,আমার পরাণ থেকে ৷