বছর শেষে এল ঘুরে নবম শ্রেণীর ফল ৷
রাজুর মুখে লম্বা হাসি,কি হয় দেখি চল ৷
তিন ঘটিকায় কষ্ট করে ফলটি হাতে পেল ৷
রাজুর মুখে একটি কথাই ঘুরতে-ফিরতে ছিল ৷
হায় ! হায় ! কি হবে এবার;সবই বোধহয় গেল ৷
রাজুর মুখে হতাশ দেখে গণিত গুরু এল ৷
কি হয়েছে এবারে রাজু;সফল হয়েছ নিশ্চয়ই ?
বিফলে বীণাপাণির আশিস্,সঙ্গে ফোঁটা দই ৷
অনভ্যাসের ফোঁটা সদাই কপালে চড় চড় করে ৷
একটু যদি গোল্লা খাতায় জুটত সংখ্যা নম্বরে ৷
গণিত গুরুর কাছে গিয়ে রাজু যেচে বলে ৷
খাতার শেষের লেখা হয়তো পড়েনি গুরু আসলে ৷
খাতার পিছনে গুণধর রাজু লিখেছিল কর জোড়ে ৷
কৃষ্ণ হরে;রামও হরে;পাসের নম্বর দিবেন জুড়ে ৷
কথাটা শোনা মাত্রই শিক্ষক,রাজুকে দেখায় খাতা ৷
শেষের পৃষ্ঠা দেখা মাত্রই চক্ষু কপালে ওঠা ৷
লাল কলমে গণিত শিক্ষক লিখেছে পরিষ্কারে ৷
কৃষ্ণ কৃষ্ণ;হরে হরে;নম্বর কি বাবা গাছে ধরে ?
যেমন শিষ্য তেমন গুরু,করেনি তো কেউই ভুল ৷
শিষ্য যদি বুনো ওল হয়,গুরু তবে বাঘা তেঁতুল ৷