বর্ষণমুখর দিনে আমি দেখলাম অন্য মনে ৷
একটি শিশু যাচ্ছে হেঁটে মুড়ি নিয়ে সনে ৷
আকস্মিক পথ মাঝে আগন্তুক সাহেব-গাড়ি ৷
চাকার জলে ভিজল গিয়ে শিশুর হাতের মুড়ি ৷
গাড়ি থেকে নেমে সাহেব উপরন্তু তাঁকে বকে ৷
অবশেষে বকুনি খেয়ে কাঁদল খোকা দুঃখে ৷
কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে দৌড়ে গেলো খোকা বাড়ি ৷
হাসতে হাসতে সাহেব তারে দেখল আড়াআড়ি ৷
নিজের ভুলে নিরীহ শিশুকে শাস্তি দিলে তুমি ৷
বিবেকহীন,শয়তান সাহেব;বুঝলাম এবার আমি ৷
একদিন তো তুমিও ছিলে খোকার মতো ছোট ৷
হিসেব করতে পারতে তখন তুমি খোকার মতো ?
নিজের দোষে শিশুকে কাঁদালে;মমতাহীন সাহেব ৷
এমন সাহেব পারবে নাকো করতে সঠিক হিসেব ৷
বাড়িতে গিয়েও হয়তো শিশু খাচ্ছে বকা মায়ের ৷
তাইতো বলি,সাহেব তুমি;মূর্খ রূপে দায়ের ৷
নিজের দোষে আত্ম-শাস্তি পেতে হয় ভাই ৷
নিজের দোষে ক্ষতি করে,দেখো,সাহেবের বড়াই ৷
একটি শিশুই হতে পারে পরবর্তী প্রজন্মের রত্ন ৷
বাসতে ভালো না পারলেও,করো না তাঁদের অযত্ন ৷
একটা কথা বলছি আমি,সাহেবের উদ্দেশ্যে শোনো ৷
সুদূর ভবিষ্যতে এমন কর্মই 'সাহেব কলঙ্ক',জেনো ৷