শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনি শুনিয়া হিয়া কাঁপিয়া উঠিল ৷
মনে লাগিল কেহ যেন অনুব্রজনে তাহা মারিল ৷
আকাশ তখনও অস্তাচলের রক্তিমা বর্ণে রঞ্জিত ৷
আর,তারই মাঝে বলাহকেরা উত্ফুল্লতায় প্লাবিত ৷
শোন শোন করিয়া বহিতেছিল প্রতীচীর অনবদ্য ফাগুনী ৷
যাহাকে পাইয়া কায়মনোবাক্যে সুখানুভূতির আবরণী ৷
কদম্বগাছের অন্তিম মৃত প্রশাখাতে বসিয়াছিল কোকিল-কোকিলা ৷
তাহাদের কন্ঠে কুহু রূপ গীত শুনিয়া স্মরণ হইল সপ্তসুরে সুরেলা ৷
বায়সছানার মুখের ভিতরের লোহিত বর্ণ দেখিতে দেখিতেই ভাস্কর সায়াহ্নের কোলে ঢলিয়া পড়িল ৷
আর ঠিক তখনই,জ্যোত্স্না ছড়াইয়া গূঢ় সত্যব্রত পালনে মৃগাক্ষী মৃগাঙ্ক হাসিয়া ফুটিল ৷
তাহার স্নিগ্ধা হাসি দেখিয়া মাতৃমা মেদিনী কৃতার্থম্মন্য ৷
যাহার তরেই পৃথ্বী-রবি-চন্দ্র একই সূত্রে গাঁথা পবিত্র পুষ্পমাল্যের মতো শাশ্বতিক-চিরধন্য ৷