নেওড়া নদীর পশ্চিমে স্থিত,কনকা বনানী ৷
বর্ষাকালের সিক্ত সন্ধ্যায় লাগত মোহিনী ৷
সবুজ বনানীর স্তিমিত আঁচলে সূর্য কিরণ দেয় ৷
নিঝুম রাতে ইন্দুমতী গুনিয়া মাসুল নেয় ৷
মুশলধারায় পড়লে বৃষ্টি,শম্পা চমকে উঠে ৷
তাইতো,বন্য শাবকেরা সব,রয়েছে মায়ের পিঠে ৷
বারণ খেলে হরিণ সনে;সিঙ্গি ব্যাঘ্র সনে ৷
নদীর বুকের মত্স্যগুলিও রইত অপের যত্নে ৷
গাছের পাতা নড়ে-চড়ে,হাওয়ায় ঝরে পড়ে ৷
তারই মাঝে ঝড়ের ভয়ে,একে 'পরকে ধরে ৷
বাসতো ভালো সবাই সেথা,থাকতে মায়ের ক্রোড়ে ৷
কুঞ্জ মাতাও স্ব-সন্তানদের,দেখতো স্নেহের নজরে ৷
বাঘে-গোরুয়ে একই ঘাটে,খেত তৃষ্ণার জল ৷
কুমিররাও করতো খেলা,হয়ে চঞ্চল ৷
তারাদের পরশে বলাহকেরা,চপলার সঙ্গে গাইত ৷
গাইতে গাইতে কনকা কুঞ্জে ঝমঝমিয়ে নাচত ৷
দিনের পর দিন কেটে যায়,রাতের পর রাত ৷
সবচেয়ে মোহিত করত সেথা,বর্ষা-বনানীর বাত্ ৷
বর্ষাকালে,কনকার যে রূপটি দেখা যেত ৷
সারা জীবন দেখলেও কভু,আশা নাহি মিটত ৷