চিতাটা তখনো জ্বলছিল,
ভেসে আসছিলো কাঠের জ্বলন্ত টুকরো,
হায়না গুলোর গা-ঘেঁষে
বসে থাকা লোমহীন কুকুর গুলোর গায়ে।
দুর্ভিক্ষের দেশে এভাবেই রোজ
মহাভোজের চিতা জ্বলে,
লম্বা লাইন পড়ে চারপেয়ে জীবের,
শ্মশানের যেদিকে বসতিটা কম।
চিতা সেভাবে আর জ্বলে না
মানুষ বাড়ন্ত আজকের দেশে,
গভীর রাতেও থামেনা চিৎকার,
হায়না কুকুর দাঙ্গা বাধায়,
মানুষের শব ঝলসাতে থাকে চিতায়।
আগে যারা মানুষ ছিলো,
তারা এখন চারপায়ে হাঁটে,
মেরুদণ্ড ভাঙ্গার পর থেকেই
শুধু ফ্যাকাসে বমি করে।
সব চারপেয়ে জন্তুরা এখন
একসাথে লাইনে দাঁড়ায়,
দিন দিন বাড়তে থাকে লাইন,
এখনো বেড়েই চলেছে।
দু-একটা মেরুদণ্ড যদি থাকতো,
চিতাটাকে খুঁচিয়ে একটু দাঁড় করানো যেতো......