তখন তোমার বয়স ষোল
কিংবা সতের,আমার মাত্র ঊনিশ।
আমের কুড়িগুলো যৌবন পেরিয়ে
রসে ভরপুর, বাংলার আকাশে-
বাতাসে যুদ্ধের ডামাঢোল।
খেলার ছলে মৃদু হেসে বলেছিলে
ভালোবাসি, তুমি ক্লান্ত পাখির মতো
বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলে বৃক্ষের বুকে।


কালবৈশাখী ঝড় যেমন দুমড়ে মুচড়ে
তছনছ করে ফেলে ফসলের ক্ষেত,
বাড়ির উঠোন, টিনের চাল।
তেমনি করে আমার রক্তাক্ত হৃদয়ে
শিহরণ জাগিয়ে তোলপাড় করে
ঘটিয়েছিলে অনবরত রক্তক্ষরণ।

সেদিন আমার হাতে গ্রেনেট,
চোখে লেলিহান শিখা, হৃদয়ে
এক সুমদ্র স্বাধীনতার তৃষ্ণা
-একটি মানচিত্রের প্রত্যাশা,
-একটি পতাকার অপেক্ষা,
তোমাকে অফুরান্ত ভালোবাসার
-আমৃত্যু স্বাধীনতা।